জুমবাংলা ডেস্ক : গণঅধিকার পরিষদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব আসনে এককভাবে প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর চকবাজারে এক শুভেচ্ছা মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত পথসভায় এ কথা জানান তিনি।
গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ায় দলের চকবাজার থানা শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়। চকবাজার থানার সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে চকবাজার থানার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
আবু হানিফ বলেন, গণঅধিকার পরিষদ কোনো চাঁদাবাজি, দখলদারি সমর্থন করে না। আমরা সবাইকে নিয়ে সুন্দর একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই।
তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম শেখ হাসিনার নামে মাত্র দুইশ মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নামে কমপক্ষে হাজার খানেক মামলা হওয়া উচিত। এখনো যেসব পরিবার মামলা করেননি তারা থানায় গিয়ে মামলা করুন। শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের অনেকের নামে হত্যা মামলা রয়েছে। তার পরিবারের অনেকেই দেশে আছেন, তারপরও কাউকেই আটক করা হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলবো, আগামী ৪৮ ঘণ্টার ভিতরে তাদের আটক করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ। তাই বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে তারা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলবো, আপনাদের আপা কিন্তু আপনাদের কথা চিন্তা করেননি। আপনারা নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না। শান্ত পাহাড়কে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং পাশের একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করছে। তারা শান্ত পাহাড়কে রক্তাক্ত করার চেষ্টা করছে। আপনারা বিশৃঙ্খলা করবেন, সরকার কাউকেই ছাড় দেবে না। কোথাও কেউ বিশৃঙ্খলা করলে কিংবা অপরাধ করলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন। গণঅধিকার পরিষদ কোনো মব জাস্টিস কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকে সমর্থন করে না।
দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুজ জাহের বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে বসে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রকে সহায়তা না করে দেশবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, বিপ্লবের দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়নি। জনগণ কিন্তু বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের পর থেকে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। কারণ, সেদিন আমার দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে শেষ করার চক্রান্তের যাত্রা শুরু হয়েছিল। আমরা শেষ পর্যন্ত রাজপথে ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরের ছাত্রদের ভোটে নির্বাচিত ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরকে ষড়যন্ত্র করে অতীতেও দমিয়ে রাখতে পারেনি, আগামীতেও পারবেন না, ইনশাল্লাহ। আপনারা ভিপি নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিন। ইনশাল্লাহ আমরা আগামীতে একটি সুন্দর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহনিরাপত্তাবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ ও চকবাজার থানার সমন্বয়ক বাহারুল্লাহ রাজু প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।