জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন রানওয়ে চালু হবে নভেম্বর মাসের শেষের দিকে। সাগরের জলরাশি ছুঁয়ে অবতরণ করবে বিমান। এতে মহা খুশি পর্যটন নগরীর বাসিন্দারা। কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রস্তুত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন রানওয়ে। প্রকল্পের প্রায় ৮৩ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
সূত্র জানায়, রানওয়ে পরিষেবা চালু হলে, বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৪৭-এর মতো বড় বিমানগুলো কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা। সাগরের বুক চিরে নির্মাণ হতে যাওয়া এটি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিামানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়ে। সাগরের লোনা পানি ছুঁয়ে অবতরণ করবে বিমান। মনে হবে যেন পাখির ডানায় চেপে নীল জলের দিগন্ত ছুঁয়ে মাটিতে নেমে আসছেন যাত্রীরা। কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সমুদ্রে সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক মো. ইউনুস ভূঁইয়া বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রস্তুত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন রানওয়ে। প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮৩ শতাংশ। সবকিছু ঠিক থাকলে এটি চালু হবে নভেম্বর মাসের শেষদিকে। নতুন রানওয়ের পুরোটা (১৭০০ ফুট) অংশ থাকছে সাগরজলের (লোনা পানি) ওপর। এই লোনাপানি ছুঁয়ে উড়োজাহাজ নামবে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তখন কক্সবাজারের পর্যটনসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। আমরা চেষ্টা করছি এর আগে কাজ শেষ করার।
বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জানান, এই রানওয়ে চালু হলে কক্সবাজার থেকে সরাসরি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল সংযুক্ত হবে। পাশাপাশি রাতেও উঠানামা করতে পারবে বিমান। এর ফলে কক্সবাজার বিদেশী পর্যটক টানতে সক্ষম হবে। রানওয়ের ৮৩ শতাংশ কাজ শেষ। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী নভেম্বর মাসে এই রানওয়ে পরীক্ষামূলক চালু হবে। ১৯৫৬ সালে কক্সবাজার বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ৪টি এয়ারলাইন্স এখন এ বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে।
প্রথম পর্যায়ে এ রানওয়ে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুট এবং ১২০ ফুট থেকে ২০০ ফুট প্রশস্ত করা হয়। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চীনের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিইসিসি) সঙ্গে চুক্তি করে। এই কোম্পানি চীনের আরেক প্রকৌশল কোম্পানি চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরোকে সঙ্গে নিয়ে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে। এর আগে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ৯ হাজার ফুট। পরে ২০১৯ সালে সরকার ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়। যার লক্ষ্য ছিল বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা। বিদেশী পর্যটকদের জন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ঝামেলামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়া।
মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, রানওয়ে চালু হলে এটি আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকদেরও বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভ্রমণে আসতে আগ্রহ বাড়াবে।
রানওয়ে চালু হলে বোলিং ৭৭৭, ৩০০ সহ বিশ্বের সকল অত্যাধুনিক বিমান এই রানওয়েতে চলাচল করবে। এটি কক্সবাজারের জন্য একটি মাইল ফলক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।