জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কর্মরত কনস্টেবল মকবুল হাওলাদার দীর্ঘ ৪০ বছর পুলিশে চাকরি জীবনের শেষে অবসরে যাওয়ায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার চত্বরে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির। এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কনস্টেবল মকবুল হালদারের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করেন।
সংবর্ধনার অংশ হিসেবে থানা চত্বর থেকে শুরু করে তার নিজ বাসভবন কেরানীগঞ্জের মডেল টাউনে ব্যান্ড পার্টি ও পুলিশের প্রটোকল দিয়ে সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এ সময় থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুনুর রশিদসহ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে পায়ে হেঁটে তাকে সম্মান প্রদর্শন করে।
জানা যায়, মকবুল হাওলাদার নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আটি গ্রামে ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি পুলিশে যোগদানের পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর বিভিন্ন থানা,ট্রাফিক, গোয়েন্দা পুলিশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় তার কর্মজীবন শেষ করেন।
মকবুল হাওলাদার বলেন, আমার কর্মজীবনে যদি আমার কোনো সহকর্মীর সঙ্গে কোনো রূপ খারাপ আচরণ করে থাকি তাহলে প্রথমে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আজ আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন তা আমি কল্পনা করি নাই। কর্মজীবনে আমি মানুষের উপকার করেছি। বাকী জীবন যেন আল্লাহর পথে সময় দিতে পারি সবার কাছে এই দোয়া কামনা করি।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, আজ আমার কাছে আনন্দ লাগছে আবার খারাপও লাগছে। যাকে আমি বিদায় জানাচ্ছি তার সঙ্গে আমি চাকরি করেছি। আজ আমি তার ওসি। আমি যখন দারোগা ছিলাম তখনো মকবুল ভাই আমার সঙ্গে চাকরি করেছে এই কেরানীগঞ্জ মডেল থানায়। আমি দোয়া করি মকবুল ভাই বাকী জীবন স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালো থাকবেন। নামাজ পড়বেন, আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।