জুমবাংলা ডেস্ক : এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির পরিচয় প্রকাশ্যে এসেছে। সংগঠনটির সভাপতির নাম এইচ এম আবু মুসা ও সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সংগঠনটির ঐতিহাসিক পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে তাদের পরিচয় জানা যায়। এদিকে সন্ধ্যায় ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিবির’ নামে একটি ফেইসবুক পেইজ থেকেও তাদের নাম প্রকাশ করে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
পোস্টটিতে সংগঠনটির ঐতিহাসিক পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার ছবি সংযুক্ত করে ক্যাপশনে সভাপতি ও সেক্রেটারি হিসেবে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সভাপতি আবু মুসা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি পাবনা জেলার দোগাছী ইউনিয়নে। অন্যদিকে সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মাহমুদুল হাসানের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আজ সোমবার বিকাল ৩ টায় ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী এলাকার ওয়ালিউল্লাহ-আল মুকাদ্দাস মিলনায়তনে ২৮ অক্টোবর ঐতিহাসিক পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ইবি শাখা ছাত্রশিবির। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এইচ এম আবু মুসার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মু. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য আলী আজম মো. আবু বকর।
সভাপতির বক্তব্যে এইচ এম আবু মুসা বলেন, শহীদেরা আমাদের প্রেরণা। তাদের জীবনাচরণ আমাদের দেশ ও ইসলামের ত্যাগের শিক্ষা দেয়।
অতিথির বক্তব্যে আলী আজম মো. আবু বকর বলেন, আওয়ামীলীগের ইতিহাস বর্বরতার ইতিহাস। পতিত স্বৈরাচারকে কোনো অবস্থাতেই উঠে দাঁড়াতে দেয়া যাবেনা, আগামীতে যদি আবারো এরা ক্ষমতায় আসে তাহলে প্রকাশ্যে খুন ও গুমের রাজনীতিতে মেতে উঠবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। এ ব্যাপারে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। পলাতক স্বৈরাচারের দোসরেরা এ সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একের পর এক ইস্যুর মাধ্যমে অঘটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।