বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের ক্ষমতা আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকছে না, রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন আইনে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসন জোরদার করতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২’ সংশোধন করে প্রণীত ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডিন্যান্স ২০২৫’-এ এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দীর্ঘ দেড় দশক ধরে রাজনৈতিক চাপ ও প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার করায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নানা সময়ে দায়ী করা হয়েছে। একের পর এক নির্দেশনা ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে আইনের বাইরে গিয়ে জারি হওয়ায় সংস্থার স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এ অবস্থার পরিবর্তনে দায়িত্ব নেওয়ার পর গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেন। ড. সাবেত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটি আইন সংশোধনের খসড়া তৈরি করে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
খসড়ায় যেসব সংস্কারের প্রস্তাব
নতুন খসড়ায় কয়েকটি বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে— বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডে সরকার মনোনীত সদস্য সংখ্যা কমানো।
গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধানের বদলে রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়া। যেকোনও বিষয়ে গভর্নরকে সরাসরি সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরের চাকরির মেয়াদ চার বছরের পরিবর্তে ছয় বছর করা।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আর্থিক খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের বিকল্প নেই। সরকারি ব্যাংকগুলো সরকার চালায়, বেসরকারি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক চালায়— এমন দ্বৈতনীতি পৃথিবীর কোথাও নেই। বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি অনিয়ম রোধ ও আর্থিক খাতকে সুশৃঙ্খল করতে কোম্পানি আইনেও সংশোধন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।