জুমবাংলা ডেস্ক : তামাক সেবন বন্ধে করারোপ অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি তবে একমাত্র পদ্ধতি নয়। সিগারেট কোম্পানিগুলো উৎসাহ এবং আকর্ষণ তৈরির ফলে তামাক সেবন এখনও কমছে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মঙ্গলবার সকালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, গবেষণায় বলা হচ্ছে দেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক সেবন করে থাকে। এর অর্থ হচ্ছে- দেশে প্রতি তিন জনে একজন তামাক সেবনকারী। এ চিত্র একদিকে যেমন ভয়ংকর অন্যদিকে উদ্বেগের।
তিনি বলেন, এসডিজির অভীষ্ট ৩ দশমিক ৯ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক সেবন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনার কথা বলা হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে তা কার্যকর করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও অবিলম্বে তা বাস্তবায়ন দরকার।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মধ্যে ভীতি কাজ করে– বেশি করারোপ করলে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাবে। তামাক কোম্পানিগুলো রাজস্ব কমানোর জুজুর ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বহু গবেষণার পর্যবেক্ষণ হলো তামাক ব্যবহার কিছুটা কমবে তবে রাজস্ব বাড়বে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের তামাকবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা আন্দোলন করলে দেশের জনগণ আপনাদের কথা শুনবে ও আরও বেশি সচেতন হবে।
উন্নয়ন সমন্বয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জাহিদ রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডিএসের রিসার্চ ডিরেক্টর ড. এস. এম. জুলফিকার আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। এতে প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেছেন- উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।