জুমবাংলা ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের কেজি ও ডিমের ডজনের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। আলু কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারিতে রসুনের দাম কমলেও খুচরায় এর প্রভাব নেই। সরবরাহ বাড়ায় বেশির ভাগ সবজির দাম কমেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি বাড়ায় দেশি ও আমদানি—দুই ধরনের পেঁয়াজের দামই কমেছে। আলুর সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শ্যামবাজার, রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এখন ৫ থেকে ১০ টাকা কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
আগের সপ্তাহে ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, এখন ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ডায়মন্ড জাতের আলু কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে রসুনের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমলেও খুচরায় আগের বাড়তি দামেই দেশি ও চায়না জাতের রসুন বিক্রি হচ্ছে।
চায়না রসুন ২৪০ টাকা ও দেশি রসুন ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ ঘুরে বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন নেই, আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি মানভেদে কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চিকন মসুর ডাল ১৪০ ও মোটা মসুর ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত আখের (লাল) চিনি ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারক এবং শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাজেদ এদিন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা কমেছে। চায়না রসুন কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। পাইকারিতে বৃহস্পতিবার ভারতের পেঁয়াজ কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৬৮ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চীনের রসুন কেজি ১৭০ টাকা ও দেশি রসুন ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, বাজারে এখন দেশি রসুনের সরবরাহ কম। এ কারণে চীনের রসুনের চেয়ে দেশি রসুনের দাম বেশি।
রাজধানীর রামপুরার ভ্যারাইটিজ স্টোরের ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, বাজারে ভারতের পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে। দাম কমার কারণে দেশি পেঁয়াজ কেজি ৮৫ টাকা ও আমদানি পেঁয়াজ কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও রসুন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন কেজি ২৫০ টাকা ও চীনের রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কমার প্রভাব ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরেও দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির বৃহস্পতিবারের বাজারদরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৭ থেকে ৮ শতাংশ এবং দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ শতাংশ দাম কমেছে। তবে রসুনের দামে নড়চড় নেই।
বাড্ডার ডিম ব্যবসায়ী মো. রশিদ বলেন, ডিমের দাম কমে গেছে। এ কারণে বিক্রিও আগের চেয়ে বেড়েছে। বৃহস্পতিবার পাইকারিতে ১০০টি ডিমের দাম রাখা হয়েছে এক হাজার ২১০ টাকা। সে হিসাবে প্রতি ডজন কিনতে খরচ পড়েছে ১৪৫ টাকার মতো। খুচরায় ডজন বিক্রি করছি ১৫০ টাকায়। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পাইকারিতে ১০০ পিস ডিম কিনতে খরচ হতো এক হাজার ২৫০ টাকা। তখন ডজনপ্রতি খরচ পড়ত ১৫০ টাকা, বিক্রি করেছি ১৫৫ টাকায়।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশির ভাগ সবজির দাম কমেছে। বেগুন আকারভেদে কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৮০, কাঁচা মরিচ ১৪০ থেকে ১৬০, ঢেঁড়স, পটোল, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০, টমেটো ১২০ থেকে ১৫০, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০, শসা ৫০ থেকে ৭০, কচুমুখি ৮০, বরবটি ৮০ থেকে ১০০, ঝিঙা ৮০, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাড্ডা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ তরফদার বলেন, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম। এক সপ্তাহ আগের তুলনায় বিভিন্ন সবজি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।