ঈদের আগে ও পরে রাজধানীর বাজারগুলোতে ডিমের দাম দাঁড়িয়েছিল ১২৫-১৩০ টাকা ডজন, যা কমে হয়েছে ১২০ টাকা। অন্যদিকে প্রতি কেজি সোনালি মুরগির দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এ ছাড়াও বাজারে কমেছে সবজির দাম।
শুক্রবার (২২ জুলাই) উত্তর সিটি করপোরেশনের বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। পিস হিসেবে কিনলে প্রতি পিস ডিমের দাম দাঁড়ায় ১০ টাকা। কদিন আগেও বাজারগুলোতে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হয়েছে ১২-১৫ টাকা।
ডিমের দাম কমা প্রসঙ্গে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের ডিম ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া বলেন, ঈদের পর সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। প্রচণ্ড গরম পড়ায় ক্রেতারা ডিম কিনছে কম। এতে চাহিদার থেকে জোগান বেশি হওয়ায় ডিমের দাম কমে গিয়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী শাহীন বলেন, সামনে ডিমের দাম আরও কমবে। বাজারের হালচাল দেখে মনে হচ্ছে, ডিমের চাহিদা কম।
ডিমের পাশাপাশি কমেছে মুরগির মাংসের দাম। মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৬৫ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।
সকালে রামপুরা বৌবাজারে আসা মুসলিমা আক্তার বলেন, ‘ঈদের আগে মুরগির দাম শুনে চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল। আজ দাম শুনে মনে হয় সবকিছু ঠিকঠাক আছে।’
সবজির বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম কিছুটা কমেছে। এখন এক কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। একই সঙ্গে কমেছে টমেটোর দামও। গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টমেটো এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
বাজারে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোলের কেজি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর পটোল বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় আরও রয়েছে করলা, কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, কাঁচকলা। বাজারে করলা, কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে ঢ্যাঁড়শের দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢ্যাঁড়শ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
অন্যদিকে ঈদের পরও মাছের দাম একটু বাড়ন্ত। মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা, শোল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, কই ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আর পাবদা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে।
প্রায় একই দশা ইলিশের বাজারে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।