জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদাবাজি বন্ধ ও নিত্যপণ্যের যৌক্তিক দাম নিশ্চিত করতে বাজারে তদারকি বাড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে এর প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে। কমতে শুরু করেছে পণ্যের দাম। আর এতে খুশি ক্রেতারা। তারা বলছেন, কার্যক্রম এভাবে চলমান থাকলে নিত্যপণ্যের দাম অচিরেই চলে আসবে নাগালে।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও যে ব্রয়লার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা আজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। একইভাবে কেজিতে ৫০ টাকা কমেছে দেশি ও লেয়ারের দাম। পাশাপাশি ডিমেও মিলেছে স্বস্তির আভাস।
এছাড়া কমতির দিকে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। তবে সরবরাহ কম থাকার কারণে বিভিন্ন মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী রোকনুজ্জামান। কারওয়ান বাজারে এসেছেন সবজি কিনতে। কথা হয় তার সঙ্গে।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছে। এতে করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করার সুযোগ পাচ্ছে না। এই কার্যক্রম চালু থাকলে নিত্যপণ্যের দাম শিগগিরই আমাদের নাগালে চলে আসবে।
একই কথা বললেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাবিবা সুলতানাও।
তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কারণ, এর প্রভাবে বাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি পটল ৪০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিপণ্যের দোকান ঘুরেও দেখা গেছে স্বস্তির চিত্র। নেই দামের উত্তাপ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।