জুমবাংলা ডেস্ক : বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘিরে জমজমাট ফুলের বাজার। একদিনের ব্যবধানেই দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর শাহবাগের ফুলের রাজ্যের চিত্র বলেছে, ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। গোলাপ, গাদাসহ বিভিন্ন কাঁচা ফুলের মৌ মৌ সুঘ্রাণে সুবাসিত চারপাশ। যদিও এমন চিত্র প্রতিদিনের। তবে বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ নানা আয়োজনকে কেন্দ্র করে আরও জমে উঠেছে ফুলের বাজার।
তবে আনন্দ নিয়ে ফুলের বাজারে গিয়ে দাম শুনে চোখ কপালে ক্রেতার। দাম বেশি থাকার বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি ১২০ টাকা দিয়ে একটি ফুলের তোড়া কিনেছি। আমি মূল জারবারা কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু সেটি দাম বেশি হওয়ায় আমি অন্য ফুল কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
গোলাপের দাম বেশি হওয়া নিয়ে আরেকজন ক্রেতা বলেন, ‘ফুলের দাম অনেক বেশি। বিশেষ করে গোলাপফুল তো ধরাই যাচ্ছে না।’
দাম বেশি হওয়ার বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, ‘অনেক খুচরা বিক্রেতা ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কিনে মজুত করে রাখছেন। তাই এখন দাম বেশি রাখা হচ্ছে।’
ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য বলছে, একদিনের ব্যবধানে ৩০০ ফুলের এক বান্ডিল লাল গোলাপের দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা হাঁকছেন ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। ধরনভেদে ৫০টি ফুলের এক আঁটির দাম নেয়া হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়া গাদা ফুল ৮০টির ঝোপায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে আড়াইশ থেকে ৩০০ টাকা।
এ বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, ‘গতকাল ১০০ ফুল ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা।’
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই ৩৫ শতাংশ ফুলের চাহিদা থাকে। তবে শীত ও কুয়াশার কারণে এবার উৎপাদন কম হওয়ার কথা উল্লেখ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, সাধারণত প্রতিবছরই অনেক ফুল পাওয়া যায়। কিন্তু এবছর উৎপাদন ভালো হয়নি। ঠাণ্ডার কারণে ফুলে দাগ পড়ে গেছে। তাই দাম বেশি।
ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রী বাবুল প্রসাদ জানান, শীত ও কুয়াশায় এবার ফুলের উৎপাদন কম হওয়ায় বেড়েছে দাম। তবে আমাদের দেশে ফুলের চাহিদা অনুযায়ী আমরা শতভাগ উৎপাদন করতে পেরেছি। কিন্তু মানুষের চাহিদা তো আরও বেশি। আগে যেখানে ৫০ জন ফুল কিনত। এখন ১০০ জন ফুল কিনছেন।
উল্লেখ্য, দেশে এখন ফুলের বার্ষিক বাজার দেড় হাজার কোটি টাকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।