জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের হিলিতে দেশি রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে আমদানি করায় বিক্রিও হচ্ছে বেশিতে। আর নিম্ন আয়ের মানুষ বলছেন, হঠাৎ করে রসুনের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
হিলি বাজারে রসুন কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে রসুন কিনলাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। কয়েকদিনের ব্যবধানে সেই রসুনের দাম বেড়ে এখন কিনতে হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। বাজারে কোনও পণ্যের দামের নিয়ন্ত্রণ নেই, যে যার মতো দাম বাড়াচ্ছে। এতো দাম হলে আমরা সাধারণ মানুষ চলবো কীভাবে?’
রসুন কিনতে আসা শিউলি আকতার বলেন, আমি স্থানীয় এনজিওতে চাকরি করি, বেতন কম। যেভাবে রসুনসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে চলা মুশকিল হয়ে পড়ছে।’
হিলি বাজারের রসুনবিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘মৌসুম শেষ হওয়ায় যেসব মোকাম থেকে রসুন কিনতাম এখন সেখানে আমদানি কমে গেছে। আগে দিনাজপুর ও নাটোরের রসুনের সরবরাহ ছিল, এখন মোকামে শুধু নাটোরের রসুনের সরবরাহ আছে।
‘মোকাম থেকে বাড়তি দামে রসুন কিনতে হচ্ছে। ফলে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। দাম বাড়ার পেছনে আমাদের হাত নেই। যখন যে দামে কিনছি সেভাবে বিক্রি করছি। তবে ভারতীয় রসুন একটু কম দামে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। দাম কমের কারণে ক্রেতারা ভারতীয় রসুন বেশি কিনছেন।’
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, ‘কেউ পণ্য মজুদ করে বাড়তি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা বা কারাদণ্ড দেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।