জুমবাংলা ডেস্ক : আকরিক লোহার আন্তর্জাতিক বাজারে চরম মন্দা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) আরেক দফা কমেছে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দাম। তবু বেচা-কেনা বাড়েনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক চীন। কঠিন ধাতুটির মূল উপকরণ আকরিক লোহা। দেশটিতে যার চাহিদা ব্যাপক কমেছে।
এতে এদিন লৌহ আকরিকের দর আরও হ্রাস পেয়েছে। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ শক্ত ধাতুটির দরপতন ঘটলো।
চলতি বছর ইস্পাতের উৎপাদন ২০২২ সালের স্তরে সীমাবদ্ধ রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। তাতে আকরিক লোহার বাজার চাপে পড়েছে। দিন দিন মূল্য কমছে।
দেশটির নির্মাণ খাতে ভরা মৌসুম চলছে। ফলে প্রয়োজনীয় ধাতুটির বাজার জমজমাট হওয়ার কথা ছিল। সেই সঙ্গে দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা ছিল।
আকরিক লোহার দর হারানোর নেপথ্যে আরেকটি কারণ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ভোক্তা দেশে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা জেগেছে। ফলে চীন থেকে সেসব দেশে ইস্পাত রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে নিম্নমুখী হয়েছে।
চীনের দালিয়ান কম্মোডিটি এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা আগামী সেপ্টেম্বর মাসের আকরিক লোহার দর কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি টনের দাম স্থির হয়েছে ৭৭২ ইউয়ান বা ১১২ ডলার ৯১ সেন্টে।
আগের দিন (বৃহস্পতিবার) বেঞ্চমার্কটির মূল্য হ্রাস পায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে যার দাম পড়েছে ২ শতাংশেরও বেশি।
অন্যদিকে, সিঙ্গাপুর এক্সচেঞ্জে আগামী মে মাসের আকরিক লোহার দরে উত্থান-পতন দেখা গেছে। দাম কমার পরই বেড়েছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। টনপ্রতি মূল্য স্থির হয়েছে ১১৬ ডলার ৫৫ সেন্টে। সবমিলিয়ে সবশেষ সপ্তাহে বেঞ্চমার্কটির দরপতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।
ক্রেতাদের উদ্দেশে লেখা এক নোটে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ব্যাংকিং গ্রুপের (এএনজেড) পণ্য কৌশলবিদরা বলেন, আকরিক লোহার দাম কমছেই। ২০২৩ সালে ইস্পাত উৎপাদনের সীমা নির্ধারণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চীন। পরিপ্রেক্ষিতে চাহিদা হ্রাস পেয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।