বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশে ডলারের দর বৃদ্ধির প্রভাবে বাজারে বেড়েছে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টস ও অন্যান্য ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর দাম। ফলে, পছন্দের পণ্যটি না কিনে ক্রেতারা তুলনামূলকভাবে কম দামের পণ্য কিনছেন। আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের দাম বৃদ্ধি ছাড়াও ১৫ শতাংশ আমদানি করের কারণে ইলেকট্রনিকস পণ্যের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ ।
সম্প্রতি দেশে ডলারের দাম এক লাফে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে প্রভাব পড়ছে দেশে আমদানিকৃত সব পণ্যে। একই কারণে দাম বাড়ছে বাজারে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, অন্যান্য ইলেকট্রনিকস সামগ্রীতেও।
বছর খানেক আগেও আসুস, এইচপি ব্রান্ডের কোর আই ত্রি ল্যাপটপের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। ফলে,পছন্দের পণ্য তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন ক্রেতারা। কারণ হিসেবে দামের কথাই উল্লেখ করেছেন তারা।
ক্রেতার সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারকরা জানান, ডলারের দাম বাড়ায় টাকার অবমূল্যায়নসহ কর বেশি থাকায় প্রায় ৩৫ শতাংশ দাম বেড়েছে ল্যাপটপ ও প্রিন্টারে। এছাড়া, অন্যান্য ইলেকট্রনিকস সামগ্রীতেও বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি সুব্রত সরকার বলছেন, ‘ল্যাপটপ-প্রিন্টারে ১৫ শতাংশ যে ভ্যাট আরোপ করায় এবং ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে ৩০–৩৫ শতাংশ। অন্যান্য পণ্য বেড়েছে ১৫ শতাংশ।’
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আগামী বাজেটে এসব পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।