জুমবাংলা ডেস্ক : তিন থেকে চার মাসের মধ্যে কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ কি-বোর্ড, মাউসের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। এতে মানভেদে প্রতিটি ল্যাপটপ ও প্রিন্টারে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তবে সব ব্রান্ডের মনিটরের দাম কমেছে ৪-৫ হাজার টাকা। কমেছে কিছু কম্পিউটার যন্ত্রাংশের দামও।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারাসহ নতুন বাজেটে বাড়তি ভ্যাট আরোপের কারণে বেড়েছে কম্পিউটারের দাম। দেশে প্রযুক্তিপণ্যের ৯০ শতাংশই আমদানি-নির্ভর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, অগ্রিম আয়করসহ সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশের মতো কর দেন আমদানিকারকেরা। এতে বাজারে মানভেদে প্রতিটি ল্যাপটপেরই দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা, বেড়েছে প্রিন্টারের দামও।
৩-৪ মাস আগে এইচপির যে ল্যাপটপের দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। এ ছাড়া ডেল, আসুস, এসারসহ সব ব্রান্ডের কম্পিউটারের দাম বেড়েছে। তবে মনিটর, র্যাম, গ্রাফিক্স কার্ডসহ কিছু যন্ত্রাংশের দাম কমেছে।
ক্রেতারা জানান, দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এর আগে যেটা ৬০ হাজারের মধ্যে পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না।
বিক্রেতারা জানান, নতুন ভ্যাট ট্যাক্স যোগ হয়েছে। এ জন্য ল্যাপটপরের দাম অনেক বেড়ে গেছে। ডেস্কটপের চাইতে ল্যাপটপের দাম অনেক বেশি বেড়েছে। ল্যাপটপ কেনার জন্য আগে যেখানে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতো সেখানে বর্তমানে ৫৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। তবে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের দাম আগের থেকে তুলনামূলকভাবে কমেছে।
অতিরিক্ত ভ্যাট যুক্ত হওয়াসহ এলসি সংকটের কারণেই বেড়েছে দাম। তাই এসব পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহরের দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, ডলারের পাশাপাশি এলসির মূল্য ৩০ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে। এ জন্য ল্যাপটপের মূল্য ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা বেড়ে গেছে। এর নিচে কোনো ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের দাবি যেন ১৫ শতাংশ ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।