জুমবাংলা ডেস্ক : আবার পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে খবর আসতেই দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এসেছে; তবে পাড়া মহল্লার খুচরা দোকানে এর প্রভাব দেখা যায়নি।
এছাড়া কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আদা-রসুনসহ অন্যান্য মসলার দামেও গত বছরের তুলনায় তেমন একটা হেরফের হয়নি বলে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে চলতি সপ্তাহে নতুন করে কোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে দেখা যায়নি। তবে আগের মতই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস, মুরগি, ডিম, মাছ, আলুসহ বেশ কয়েকটি পণ্য।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মোশাররফ হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গত ১০ দিন ধরে প্রতিকেজি ৫০ টাকা করে বিক্রি হয়ে আসা দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
“তবে এ দাম টিকবে কি না সেটা বলা মুশকিল,” বলে মন্তব্য তার।
কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও পাড়া মহল্লার খুচরা দোকানগুলোতে এখনও এর প্রভাব পড়েনি। আগের মত প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরই রয়ে গেছে।
পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ কেজিপ্রতি ২২ টাকা হওয়ার পরও মৌসুম শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে এটির দাম বাড়তে থাকায় চলতি সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারি তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এজন্য ঈদের আগেই পেঁয়াজ আমদানির পথ সুগম করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে সম্প্রতি চিঠি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ওই উদ্যোগের খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজের মত বাজারে এখন আমদানি রসুন ও আদার দামও কমতে শুরু করেছে। চীনের রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৯৫ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকা ছিল। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। চীন থেকে আসা আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের একজন মসলা বিক্রেতা জানান, এখন আদা ও রসুনের যেই দাম আছে তা নাগালের মধ্যেই আছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দাম না বেড়ে উল্টো চীনের রসুনের দাম কেজিতে অন্তত ৫ টাকা করে কমেছে।
ঈদের আগে আর দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমদানির গতি বেড়ে যাওয়ায় ও পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে আছে। সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।