জুমবাংলা ডেস্ক : সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি এলেও চাল, ডাল, তেল-চিনিসহ নিত্য পণ্যের দামে সুখবর নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ-আলুর দাম। তবে রোজার অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও মাছ ও মাংসের দাম এখনোও চড়া।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরুতে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। শসার কেজি রোজার শুরুতে ছিল ১০০ টাকার ওপরে, এখন ৪০ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, করলার মতো সবজিগুলোর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।
তবে পেঁয়াজের বাজার গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী ছিল। এ মাসের শুরুতেও সরকারিভাবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে ও হালি জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় ১২০ টাকা কেজির পেঁয়াজের দর ৬০ টাকায় নামতে দেখা যায়। কিন্তু হুট করে গত ২৩ মার্চ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ খবরকে পুঁজি করে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়ে গেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
এদিকে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এখন দাম আরও বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, প্রতি কেজি চালের দাম গত এক সপ্তাহে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। বাজারে মোটা চালের কেজি গত এক সপ্তাহে ২ টাকা বেড়ে ৫২ টাকা হয়েছে। আর সরু চালের দাম বেড়েছে কেজিতে তিন টাকা।
মগবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগে যে মোটা চালের (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) কেজি ৫০-৫১ টাকা ছিল তা এখন ৫২-৫৩ টাকা। মাঝারি মানের চালের (পাইজাম ও বিআর–২৮) কেজি ৫৫-৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৭-৬০ টাকা। আর মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চালের কেজিপ্রতি দাম ৬২-৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৬৪-৮০ টাকা হয়েছে।
এদিকে রোজার শুরু থেকেই গরু, মুরগি, খাসিসহ সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েই যাচ্ছে। প্রথমদিকে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি থাকলেও আজ ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি খাসির মাংস। পাশাপাশি কিছুদিন ধরে ২২০ টাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া গেলেও আজ তা বেড়ে ২৩০ টাকা হয়েছে।
বাজারে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়, কক মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায় এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাষের পাঙাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের শিং ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই মানভেদে ২৪০-৪০০ টাকা, চাষের কই ২৫০ টাকা, পাবদা মানভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, কাতলা ৫০০-৬০০ টাকা, নলা ২০০ টাকা, টাটকিনি ২০০ টাকা ও সরপুঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার মুদি দোকানদার আকবর আলী বলেন, ‘সরবরাহ ভালো থাকলেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে, আলুর দাম আরও বাড়াতে পারে।’
রামপুরা বাজারে পণ্য কিনতে আসা ক্রেতা মো. রানা বলেন, ‘আলুর দাম বাড়তির দিকে। এছাড়া, সবজি ও মাছের দাম আগের মতোই আছে। তবে মাংসের দাম বেড়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।