জুমবাংলা ডেস্ক : একেবারে চকচকে নতুন গাড়ির অনুভূতি না দিলেও রিকন্ডিশন গাড়ি দীর্ঘদিন চলার কারণে গাড়িপ্রেমীদের কাছে এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।
রিকন্ডিশন গাড়ি একদিকে যেমন বিলাসিতা মেটায়, অন্যদিকে অনেকটাই আরাম দেয় পকেটকেও। সেইসঙ্গে গতি আনে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে। যে কারণে বাংলাদেশের বাজারে আমদানি হওয়া গাড়ির ৭৫ শতাংশই রিকন্ডিশন বা পুরোনো গাড়ি।
ব্যক্তিগত বা উদীয়মান ব্যবসার প্রয়োজন মেটাতে বছর দুয়েক আগেও ১৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে মিলত রিকন্ডিশন গাড়ি। বর্তমানে তার দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। এতে হতাশ ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।
রিকন্ডিশন ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) তথ্য বলছে, জিএফএক্স চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি হয়েছে ৯ হাজার ২৫৭টি। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৪ শতাংশ কম। এ অবস্থায়, এলসি মার্জিন ও শুল্ক কমানোর দাবি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বারভিডার।
বারভিডা সভাপতি আব্দুল হক বলেন, গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্ক কর অনেক বেশি। বিশেষ করে ডলারের মূল্য পতনের কারণে ৪০-৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে। ফলে ক্রেতারা এত গাড়ির দাম অ্যাফোর্ড করতে পারছে না। শুল্ক ফিক্সড করে দেয়া দরকার। কমার্শিয়াল গাড়িগুলোর বয়স ১০ বছর করা উচিত।’এই গাড়ির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হলে একদিকে যেমন গতি হারাবে নতুন নতুন উদ্যোগ, কমবে আয়ের সুযোগ, অন্যদিকে বাড়বে ব্যবসার খরচ। গাড়িকে তাই মধ্যবিত্তের নাগালে রাখতে শুল্ক কাঠামো পরিবর্তনের পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।