জুমবাংলা ডেস্ক : কৃষকদের অর্থ সহায়তা বাড়িয়েছে ভারত সরকার। ইতোমধ্যে বৈরি আবহাওয়ায় দেশটিতে ধানের উৎপাদন কমেছে। এতে সেখানে চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, গত জুনে কৃষকদের ন্যূনতম মূল্য সহায়তা ৭ শতাংশ বাড়িয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে দেশটির চালের রপ্তানি দর ৯ শতাংশ বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম দুই শীর্ষ উৎপাদক থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চালের রপ্তানি মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে। এটা আরও বাড়তে পারে।
গোটা বিশ্বে ৪০ শতাংশের বেশি চাল সরবরাহ করে ভারত। ২০২২ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৬০ লাখ টন। তবে এবার দেশটির চালের রপ্তানি কমে যেতে পারে। কারণ, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চালের উৎপাদন হ্রাস পাবে। ফলে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যটির দর দাম বাড়বে।
ভারতের চাল রপ্তানিকারকদের সংগঠন রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আরইএ) সভাপতি বি ভি কৃষ্ণা রাও বলেন, সবচেয়ে কম দামে চাল রপ্তানি করত ভারত। কিন্তু কৃষকদের অর্থ সহায়তা বাড়ানোয় দেশে চালের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য সরবরাহকারী দেশগুলোও দর বাড়াতে শুরু করেছে।
বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। এশিয়ায় পানিভিত্তিক চাষাবাদের ৯০ শতাংশই হচ্ছে ধান। কিন্তু এল নিনোর প্রভাবে বৃষ্টি কমবে। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) খাদ্যমূল্য সূচকে চালের দাম ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) ইতিবাচক পূর্বাভাস দিয়েছে। তারা বলছে, এ বছর বিশ্বের শীর্ষ ৬ চাল উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদিত হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত সীমিত সরবরাহের কারণে ভোগ্যপণ্যটি দাম বাড়ছে।
ইউএসডিএ জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক চাল মজুতের পরিমাণ ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নামতে পারে। চীন ও ভারতে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে স্টক কমে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।