জুমবাংলা ডেস্ক : ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছিলো উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু চাপের মুখে প্রস্তাব ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে তারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই আপাতত দাম বাড়ানো হচ্ছে না। কিন্তু বাজারে এখনও তেলের সংকট রয়েছে। তাই রোজার মাসে সরকারকে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে ক্যাব।
বাজারে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের সংকট রয়েছে। দামও চড়া। টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে আড়াই শতাংশ।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় তেল সরবরাহ করা হচ্ছে কম। কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগ তুলেছেন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে।
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘কোম্পানি তেল দিচ্ছে না। ডিলারদের সমস্যা না। যা দুই এক কার্টুন তেল আসে, ওনাদের পোলাওয়ের চাল নিতে হবে, সরিষার তেল নিতে হবে তারপরে আপনাকে ৫ লিটার তেল দেবে।’
গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়। তারপরও সংকট কমেনি। উল্টো আরও দাম বাড়াতে এ মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুবার চিঠি দেয় ভোজ্যতেল উৎপাদক সমিতি। কিন্তু সাড়া না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি অবস্থান থেকে সরে আসেন মিল মালিকরা।
টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম বলেন, ‘আমরা আপাতত প্রস্তাব তুলে নিয়েছি।’
তবে ক্যাব বলছে, এখনই স্বস্তির কিছু নেই, রোজার বাজারের জন্য সতর্ক থাকতে হবে। ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতেই পারে।
সংগঠনটির সহ সভাপতি এস এম নাজির হোসেন বলেন, ‘কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে ভোক্তাদের যদি স্বস্তি দেওয়া হয় তাহলে ব্যবসায়ীদের প্রতি আমাদের যে আস্থা, যে বিশ্বাস সেটা কিন্তু অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।’
সয়াবিন ও পাম মিলিয়ে দেশে বছরে তেলের চাহিদা ২০ লাখ টনের বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।