জুমবাংলা ডেস্ক : নির্ধারিত দরে লেনদেনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করার পর দেশের ব্যাংকগুলোতে এই বিদেশি মুদ্রার সংকট আরও গভীর হচ্ছে। খোলা বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারণ করে দেয়া দামের চেয়ে প্রায় ১৫ টাকা বেশি অর্থাৎ প্রতি ডলার ১২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে ডলার লেনদেনে এটি এযাবৎকালের সর্বোচ্চ দর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা খোলা বাজারে ডলারের এই রেকর্ড দাম সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তারা জানিয়েছেন, উচ্চ হারে ডলার লেনদেনের পেছনে থাকা অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের বিষয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক এ প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বলেন, ‘অতিরিক্ত দামে ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক রেট উপেক্ষা করে ব্যাংক ডলার কিনলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর শাস্তি দেবে।’
অন্যদিকে খোলা বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে ডলারের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে খোলা বাজারে (কার্ব মার্কেট) প্রতি ডলারে দাম বেড়েছে তিন টাকা। শনিবার খোলা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৭ টাকায়। এর আগে বুধবার খোলা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৪ টাকায়।
মানি এক্সচেঞ্জারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ১১৩ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা। তবে এই দামে কোনো মানি এক্সচেঞ্জে ডলার লেনদেন হচ্ছে না।
মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলারের লেনদেন না হলেও মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁ থেকে শনিবার ক্রেতারা প্রতি ডলার ১২৮ টাকা দরে কিনেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হেলাল সিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করে দেয়া দরে ডলার লেনদেন হচ্ছে না। গ্রাহক আসে এবং ডলার না পেয়ে ফিরে যায়। তারা অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।