Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ২৯০০ টাকায় কেনা গরুটির দুই বাছুরের দাম ১৬ লাখ
খুলনা বিভাগীয় সংবাদ

২৯০০ টাকায় কেনা গরুটির দুই বাছুরের দাম ১৬ লাখ

Saiful IslamJune 4, 20244 Mins Read
Advertisement

তৌহিদ জামান : প্রতি বছর ঈদুল আজহায় বড় আকারের গরুর সমারোহে কোরবানির হাট চাঙা হয়ে ওঠে। ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের নজর কাড়ে মোটাতাজা, নাদুস-নুদুস ও বিশালদেহী গরুগুলো। আকর্ষণ বাড়াতে ও বাজার ধরতে এগুলোর নানা উপমা এবং বাহারি নাম দেন খামারিরা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার যশোরের হাট মাতাতে প্রস্তুত করা হয়েছে ‘মাস্তান’, ‘বাবু’ এবং ‘ঠান্ডা ভোলাকে’। তিনটি গরু ইতোমধ্যে নজর কেড়েছে সবার।

Cow

এগুলো যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডাঙ্গা মশিয়াহাটি এবং ফুলেরগাতি গ্রামের দুই খামারির। এর মধ্যে মশিয়াহাটির কৃষক মনোরঞ্জন পাড়ে দুটি গরুর নাম রেখেছেন মাস্তান ও বাবু। মাস্তানের ওজন ৩৮ মণ। দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ। বাবুর ওজন সাড়ে ২২ মণ; দাম চাওয়া হচ্ছে ছয় লাখ টাকা।

এই খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৪-১৫ বছর ধরে গরু লালনপালন করেন। তার গোয়ালে বর্তমানে ছয়টি গরু আছে। এর মধ্যে দুটি গাভি, একটি বকনা ও একটি এঁড়ে বাছুর এবং দুটি ষাঁড়। ষাঁড় দুটির নাম মাস্তান ও বাবু। প্রাকৃতিক পরিবেশে আদর-যত্নে লালন-পালন করছেন। কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, ভুসি, খড় আর খুদের ভাতের মতো দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করেছেন। ইতোমধ্যে অনেক টাকা খরচ হয়েছে তার।

গরুগুলো পালনের বর্ণনা দিয়ে মনোরঞ্জন পাড়ে বলেন, ‘মাস্তান ও বাবুর মায়ের নাম লক্ষ্মী। এগুলো ফ্রিজিয়ান জাতের। ১৩-১৪ বছর আগে গ্রামের এক কৃষকের কাছ থেকে দুই হাজার ৯০০ টাকায় লক্ষ্মীকে কিনেছিলাম। সেটি এখন পর্যন্ত ১১টি বাছুর দিয়েছে। এর মধ্যে ১০টি এঁড়ে বিক্রি করে দিয়েছি। একটি বকনা, যার নাম আদুরি। তার থেকে জন্ম নেওয়া তিনটি এঁড়ে বাছুর বিক্রি করেছি। এখন লক্ষ্মীর চারটি আর আদুরির একটি বাছুর রয়েছে। মূলত লক্ষ্মীর বাছুরই মাস্তান ও বাবু। কিছুটা উচ্ছৃঙ্খল হওয়ায় মাস্তান নাম রেখেছি। তবে বাবু শান্ত। এবার কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। মাস্তান ১১ ফুট লম্বা, উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। ওজন ৩৮ মণের মতো। দাম চাইছি ১০ লাখ টাকা। বাবুর ওজন সাড়ে ২২ মণ; দাম চাইছি ছয় লাখ টাকা। তবে এর কিছু কম হলেও দুটি গরু বিক্রি করে দেবো। কারণ পালন করতে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে।’

তবে মনোরঞ্জন পাড়ের ছেলে অনিক পাড়ে বলেন, ‘আমরা চাই, ক্রেতারা সরাসরি এসে গরু দুটি দেখে পছন্দ করে দাম বলুক। যদি তাদের পছন্দ হয় এবং দামে মিলে তাহলে বিক্রি করবো।’

ফ্রিজিয়ান জাতের মাস্তানের বয়স সাড়ে চার এবং বাবুর তিন বছর জানিয়ে অনিক পাড়ে বলেন, ‘প্রাকৃতিক পরিবেশে আদর-যত্নে লালন-পালন করছি। কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুসি, খড়, খুদের ভাত ও ভুট্টার গুঁড়ার মতো দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করেছি। কোনও ফিড কিংবা ইনজেকশন দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই বড় হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, চারদিকে চাউর হয়েছে এলাকার সবচেয়ে বড় গরু মাস্তান। সে কারণে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন দেখতে আসছেন।

বাড়িতে কথা হয় বালিয়াডাঙ্গা খানপুর কলেজের প্রভাষক পলি আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বড় ষাঁড় দুটি দেখে খুব ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটি গ্রামে যদি এভাবে গরু লালন-পালন করা হয়, তাহলে আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাবে। কৃষকরা স্বনির্ভর হবে। সরকারের উচিত তাদের পাশে থাকা।’

তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বেসরকারি সংস্থার কর্মী দেবী রানি। তিনি বলেন, ‘এলাকার সবচেয়ে বড় গরু মাস্তান। মানুষের কাছে শুনে তাই দেখতে এসেছি। এত বড় গরু এর আগে দেখিনি।’

এদিকে, ফুলেরগাতি গ্রামের লক্ষ্মণ রায় ও তার স্ত্রী ঝর্ণা রায় এবং ছেলে প্রসেনজিৎ রায় তাদের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টিকে গোসল করাচ্ছিলেন। আদর করে নাম রেখেছেন ঠান্ডা ভোলা। ১১ ফুট লম্বা এবং পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি উচ্চতার গরুটির বয়স সাড়ে তিন বছর। ওজন ৩০ মণের মতো। ওই বাড়িতে পৌঁছানোর পর তারা গরুটিকে বারবার বলছিলেন, বাবুদের দাঁত দেখাও। কিন্তু সেটি বারবার মাথা এদিক-ওদিক ঘোরাচ্ছিল।

ঠান্ডা ভোলাকে ভুট্টা, গম সিদ্ধ, খৈল, খুদের কুঁড়া আর পর্যাপ্ত কাঁচা ঘাস খাইয়ে বড় করেছি জানিয়ে প্রসেনজিৎ রায় বলেন, ‘ঠান্ডা স্বভাবের হওয়ায় নাম রেখেছি ঠান্ডা ভোলা। এটি আমাদের কথা শোনে। আজ উঠানে প্রচুর লোকজন দেখে কিছুই শুনতে চাইছে না। তার পেছনে দিনে ৮০০ টাকা খরচ হয়। দাম চাইছি ১৩ লাখ টাকা।’

স্থানীয় প্রাণী চিকিৎসক হিরন্ময় সরকার বলেন, ‘গরু তিনটির কৃত্রিম প্রজনন থেকে শুরু করে সবকিছুই দেখভাল করেছি। এলোকে সন্তানের মতো লালন-পালন করেন কৃষকরা। ২৪ ঘণ্টা ফ্যানের নিচে রাখতে হয়। দিনে চার-পাঁচবার গোসল ও খাবার খাওয়াতে হয়। গরুগুলোর মাংস সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

অভয়নগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুজর সিদ্দিকী বলেন, ‘গত বছর ওই এলাকায় গিয়ে ষাঁড়গুলো দেখে এসেছিলাম। তখন মাস্তানের ওজন ছিল এক হাজার ২৫০ কেজি ছিল। এবার অনেক বেড়ে যাওয়ার কথা। দামও বেশি পাবে বলে আশা করছি।’

জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের দেওয়া তথ্যমতে, এ বছর কোরবানির জন্য যশোরে এক লাখ ২৬ হাজার ৮৫১টি গরু-ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ হাজার ৬৭৮টি গরু এবং ৮৭ হাজার ১৭৩টি ছাগল। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
১৬ ২৯০০ কেনা খুলনা গরুটির টাকায়, দাম, দুই বাছুরের বিভাগীয় লাখ সংবাদ
Related Posts
Manikganj BADC

বদলির পরও অফিস কক্ষে তালা: মানিকগঞ্জ বিএডিসি কার্যালয়ে অচলাবস্থা

December 17, 2025
Pabna

জমি নিয়ে বিরোধ, বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

December 17, 2025
ওসি ও এএসআইয়ের

সড়কে প্রাণ গেল ওসি ও এএসআইয়ের

December 17, 2025
Latest News
Manikganj BADC

বদলির পরও অফিস কক্ষে তালা: মানিকগঞ্জ বিএডিসি কার্যালয়ে অচলাবস্থা

Pabna

জমি নিয়ে বিরোধ, বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

ওসি ও এএসআইয়ের

সড়কে প্রাণ গেল ওসি ও এএসআইয়ের

রাতে প্রেমিক

রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধাওয়া খেয়ে পুকুরে, তারপর যা ঘটলো

আবাসিক হোটেল

আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, নারীসহ ধরা ৬

জহুরা বেগম

মৃত্যুর আগে ‘বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি’ চান জহুরা বেগম

বিজয় দিবসে প্রাণ গেল ওসি

বিজয় দিবসে প্রাণ গেল ওসিসহ ২ পুলিশ কর্মকর্তার

Mira

৯ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুলছাত্রী, পরিবারে উদ্বেগ

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না

Ma

হত্যার পর মায়ের লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন ছেলে

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.