আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে যাওয়া কিছু ছবিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের জেরে নিজের রাজনৈতিক সচিবের পদ থেকে বড় ছেলে শোতারো কিশিদাকে (৩২) অব্যাহতি দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। পাশাপাশি, ছেলের ‘ভুলের’ যাবতীয় দায়দায়িত্বও স্বীকার করেছেন তিনি।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে কিশিদা বলেন, ‘আমি জনগণের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং সমস্যাকে এড়িয়ে না গিয়ে তার সমাধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভবিষ্যতেও এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি চলব।’
সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা আরও স্বীকার করেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে তার ছেলে শোতারোর আচরণ যথাযথ নয়।
জাপানভিত্তিক দৈনিক জাপান টাইমস জানিয়েছে, গত ইংরেজি নববর্ষের দিন নিজের সরকারি বাসভবনে পার্টির আয়োজন করেছিলেন শোতারো কিশিদা। নিজের কয়েকজন স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে সেই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি।
গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই পার্টির বিভিন্ন ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব ছবিতে দেখা গেছে, পার্টিতে আগত অতিথিরা অনেকেই পার্লামেন্ট ও মন্ত্রীসভার সদস্যদের নকল করে প্রেস কনফারেন্স, কেবিনেট বৈঠকের অভিনয় করে পোজ দিয়েছেন। অনেকে আবার তার বাসভবনের ভেতরের সিঁড়িতে শুয়েও পোজ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফ্রান্স, কানাডা ও যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে কেনাকাটা করার অভিযোগে বিতর্কের মধ্যে ছিলেন শোতারো। তার মধ্যেই নববর্ষের পার্টির ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর সেই বিতর্ক আরও উস্কে ওঠে। জাপানের সরকারি এবং বিরোধী দলের সদস্যরা কিশিদার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে মুখর হয়ে ওঠেন। মূলত সমালোচকদের মুখ বন্ধ রাখতেই কিশিদা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মনে করছেন জাপানের রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।