বিনোদন ডেস্ক : বেশ কিছুদিন থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে একটি গানের শব্দ যুগল– ‘ময়ে ময়ে’। তবে ভাইরাল হওয়া এ গানের ‘ময়ে ময়ে’র আসল রহস্য কিংবা কোথা থেকে এই শব্দের উৎপত্তি হয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।
সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, ‘ময়ে ময়ে’ এর সঠিক উচ্চারণ ‘ময়ে মরে’। এটি একটি সার্বীয় ভাষায় রচিত গান। মূলত টিকটক থেকেই এর সূত্রপাত। টিকটক এবং ফেসবুকের শর্ট ভিডিও (রিলস) থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি ছড়িয়েছে। এ ছাড়াও ইউটিউব ও লাইকিতে রীতিমতো চলছে ‘ময়ে ময়ে’ তোলপাড়। গানের দৈর্ঘ্য দুই মিনিট ৫৪ সেকেন্ড।
গানটি গেয়েছেন সার্বিয়ার গায়িকা ও সুরকার তেয়া দোরা। যৌথভাবে গানের কথাগুলো লিখেছেন তেয়া দোরা ও সার্বীয় র্যাপার স্লোবোদান ভেলকোভিক কোবি। অপরদিকে এতে সুর দিয়েছেন লোকা জোভানোভিক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থ্রেডসে গতকাল মঙ্গলবার এক পোস্টে শ্রোতাদের উদ্দেশে শিল্পী লিখেছেন, ‘গানটি নিয়ে অনেকে ভালোলাগার কথা জানিয়েছেন, আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। সার্বিয়া থেকে গানটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে, এটা দেখে খুবই ভালো লাগছে। প্রতিদিনই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ভালোবাসা পাচ্ছি। আপনাদের জন্য ভালোবাসা রইল।’
এই গানের কথা ও সুরে বিষাদ ছড়ানো আছে। গানে না পাওয়ার যন্ত্রণা আছে। শিল্পী গানে বলছেন, তাকে দিনের পর দিন দুঃস্বপ্ন (মরে) তাড়া করে বেড়ায়। এই দুঃস্বপ্ন তার হতাশা ও বিচ্ছিন্নতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। দুঃস্বপ্নের ঘোরে নিজেকে ফেলনা মনে করেন। এর মাঝেও খড়কুটো ধরে বাঁচতে চান। তিনি চান, কেউ তার পাশে এসে দাঁড়াক। তাকে কেউ বুঝুক, মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিক।
গত ২২ মার্চ গানটি সার্বিয়ার সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেইম ও জুনির ভেতারের ব্যানারে ইউটিউব ও স্পটিফাইতে রিলিজ দেওয়া হয়। রিলিজের ছয় মাসেরও বেশি সময় পর এ সপ্তাহে টিকটকে ভাইরাল হওয়ার পর হুহু করে বাড়ছে এই গানটির ভিউ। এ ছাড়া গান শোনার স্ট্রিমিং অ্যাপ স্পটিফাইতেও সাড়ে সাত কোটি বার শোনা হয়েছে এই গানটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।