আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মালদ্বীপকে দেশটির ‘ঋণ সংকটের’ বিষয়ে সতর্ক করেছে। কারণ ছোট্ট অথচ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ দেশটি চীনের কাছ থেকে আরও ধার নিতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। বিশ্বের পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল এই মালদ্বীপ। তাছাড়া দ্বীপরাষ্ট্রটিও প্রধানত পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গত বছর জয়ী হওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু মালদ্বীপকে নতুন করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। আর সেটা করতে গিয়ে তিনি ‘ঐতিহ্যগত বন্ধু’ ভারত থেকে দূরে সরে গিয়ে চীনের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন।
চীনের অর্থায়নে হাজার হাজার অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ, শহুরে উন্নয়নের জন্য আরও জমি পুনরুদ্ধার এবং বিমানবন্দর আপগ্রেড করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর গত মাসে সংসদীয় নির্বাচনে তার দল ভূমিধস বিজয় লাভ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধান ঋণদাতার নাম উল্লেখ না করে আইএমএফ বলেছে, মালদ্বীপ ‘উল্লেখযোগ্য নীতি পরিবর্তন’ ছাড়াই ‘বহিরাগত এবং সামগ্রিক ঋণ সংকটের উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।
আইএমএফ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, বিলম্বিত রাজস্ব একত্রীকরণ এবং পর্যটনের মূল উৎস বাজারের দুর্বল প্রবৃদ্ধিসহ চারপাশে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে এবং ঝুঁকিগুলো নেতিবাচক দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থাটি একটি বড় অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে মালদ্বীপকে জরুরিভাবে রাজস্ব বৃদ্ধি, খরচ কমানো এবং বাহ্যিক ঋণ কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপ হলো নিরক্ষরেখা জুড়ে ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১ হাজার ১৯২টি ছোট প্রবাল দ্বীপের একটি ছোট দেশ, তবে এটি কৌশলগতভাবে পূর্ব-পশ্চিম আন্তর্জাতিক শিপিং রুটগুলির মাঝে অবস্থিত।
গত বছর মুইজ্জুর বিজয়ের পর থেকে চীন আরও তহবিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই বেইজিংয়ে রাষ্ট্রীয় সফরে উন্নয়ন তহবিলের জন্য ‘নিঃস্বার্থ সহায়তার’ জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
অফিসিয়াল তথ্য বলছে, মালদ্বীপের বৈদেশিক ঋণ গত বছর ৪.০৩৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা মোট দেশীয় পণ্যের প্রায় ১১৮ শতাংশ এবং ২০২২ সালের চেয়ে যা প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার বেশি।
মালদ্বীপের অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মালদ্বীপের বাহ্যিক ঋণের ২৫.২ শতাংশ দিয়েছে চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক এবং এটি ছিল দেশটির বৃহত্তম একক ঋণদাতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।