আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সত্তরের দশকের মাঝামাঝি নরওয়েতে সামুদ্রিক পাখির সবচেয়ে বড় বড় আবাসস্থলগুলোর ওপর জরিপ করতে রাবারের তৈরি নৌযানে যাত্রা করেন পাখি গবেষক রব ব্যারেট। ক্যামেরা এবং দূরবীণ নিয়ে তিনি দেশের সুদূর উত্তরে সিল্টেফজর্ড পাখির আবাসস্থলের ছবি তোলার পরিকল্পনা করেন। তারপরে বাড়িতে ফিরে ছবিগুলো প্রিন্ট করেন এবং একটি প্যানোরামা তৈরি করার জন্য সেগুলোকে জোড়া দেন। এরপর সবগুলো পাখিকে একত্রে গুনে ফেলেন।
নৌযানটি যতই পাহাড়ের কাছাকাছি আসতে থাকে সি-গালের ডাক ততই তীব্রতর হতে থাকে। এদের গন্ধটাও স্পষ্ট হতে থাকে। প্রায় ১০০ মিটার খাড়া পাথরের পাহাড়ের চূড়ায় প্রতিটি কোনা সামুদ্রিক পাখি কিটিওয়েকসে ভরে ছিল। একই চিত্র দেখা গেছে উপকূলঘেঁষা পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাহাড়ে। দুই বা তিনবার পাখি গণনার চেষ্টা করার পর ব্যারেট বুঝতে পারেন তার কাছে যা আছে তা অসংখ্য পাখি গুনার জন্যে যথেষ্ট নয়। পরবর্তী সময়ে আরও উন্নত যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত একটি দল সেখানে যায় এবং তারা ধারণা করেন সেখানে দুই লাখ ৫০ হাজারের বেশি কিটিওয়েকস পাখি রয়েছে।
এখন সিল্টেফজর্ডের সেই সব পাখির আবাসস্থলের (কলোনি) সঙ্গে তিন দশক পরের বর্তমানের ছবির তুলনা করা হয়। এতে দেখা যায় পাঁচ দশক আগের ব্যারেটের ছবিগুলো পাখিতে ভরা ছিল। ঠিক একই পাহাড়ে বর্তমানের চিত্র খুবই হতাশাজনক এবং হৃদয়বিদারক। সেখানকার সামুদ্রিক পাখিগুলোর ৯০ শতাংশই বিলীন হয়ে গেছে। এখান সেখানে এমন দুর্লভ প্রজাতির মাত্র কয়েক হাজার পাখি দেখতে পাওয়া যায়। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে সম্পূর্ণ নিবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।