জুমবাংলা ডেস্ক : আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে।দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো-‘করব ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখব মরুময়তা।’
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিরূপ হয়ে উঠছে পরিবেশ। তীব্র তাপপ্রবাহের পর পূর্বাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। আর এর মধ্যেই সামনে এসেছে উত্তর-পশ্চিমে তীব্র খরার শঙ্কা। দুই যুগে বার্ষিক গড় বৃষ্টি কমছে। বিপরীতে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গবেষকেরা আরও জানাচ্ছেন, আগামীতে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা হবে সবচেয়ে উত্তপ্ত বিভাগ। আর এর সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে কৃষিতে।
প্রতি বছরই তীব্র হচ্ছে তাপপ্রবাহ। এপ্রিলজুড়েই তাপবলয়ে ছিল দেশ। গত কয়েক বছরে এপ্রিলে গড় বৃষ্টিও কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। ২০২০ সালে ২০ ভাগ বেশি বৃষ্টি হলেও ২০২১-এ কম হয়েছে ৭৯ ভাগ। ২০২২-এ তা ৩৬ আর
২০২৩-এ কমে দাঁড়ায় ৬৪তে। তবে চলতি বছর বৃষ্টি কম হয়েছে ৮১ ভাগ। সেই সঙ্গে দুই দশকে গড় তামপাত্রা বেড়েছে এক দশমিক চার শতাংশ। এতে খরা প্রবণতা বাড়ছে।
আবহাওয়াবিদ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, আগে দেখা যেত এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত বেশি গরম পড়ত। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে দেখা যাচ্ছে বর্ষাকালেও তাপপ্রবাহ থাকে। প্রতি বছরই তীব্র হচ্ছে এই তাপপ্রবাহ। ফলে বিরূপ হয়ে উঠছে পরিবেশ, যার প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।
জলাধার আর বন উজাড়ের কারণে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে কৃষি। খরাসহ প্রকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে আছে ২২ জেলা।
উত্তরে খরার মুখে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আট জেলা। খুলনা বিভাগে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহসহ চার জেলা, সঙ্গে আছে ঢাকা বিভাগের গাজীপুরও। অন্যদিকে খরা ছাড়াও বন্যার ঝুঁকিতে রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও কুষ্টিয়া। একই সংকট চট্টগ্রামে তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে।
অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্সসের পরিচালক ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে, সেটি হলো খরা। খরার কারণে মাগুরা ও যশোরের মানুষেরা পাট চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফলে পাট দিয়ে তৈরি ব্যাগ বা অন্য পণ্য উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এসব কারণেই এ বছর পরিবেশ দিবসে বনভূমি পুনরুদ্ধার করে খরা সহনশীল পরিকল্পনা গ্রহণে গুরুত্ব দিচ্ছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।