আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথমে আরব আমিরাত। এবার সৌদি আরবে প্রচণ্ড বৃষ্টির পর দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যা ও বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সৌদি আরবের রাস্তা-ঘাট, শহর বন্দর। নাগরিক জীবনে দেখা দিয়ে চরম বিপর্যয়। অনেক মানুষ বলছেন এ যেনো কেয়ামতের আলামত। কখনো সৌদি আরবে এমন বন্যা ও বৃষ্টি হয়নি। এবারই প্রথম। বিশ্লেষকরা বলছেন কেয়ামতের একটি উল্লেখযোগ্য আলামত হলো- অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠান্ডা ও দাবদাহসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। এতে করে মাঠঘাট যেমন ফসলহীন হয়ে পড়বে; প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার মরু অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির কারণে ঘটবে এর উল্টোটা।
মধ্যপাচ্য এমনিতে বৃষ্টি কম হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। বন্যা-বৃষ্টির কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হবে আরব অঞ্চল। পানির ছোঁয়ায় শুষ্ক মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে সবুজ অরণ্য।
সম্প্রতি সৌদি আরবে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পর বিভিন্ন স্থানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজেছে পুরো সৌদি আরব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃষ্টির পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে বড় বড় ভভনের ছাউনি বেয়ে সজোরে পানি পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে উপত্যকা এবং বিভিন্ন প্রাচীরে পানি উপচে পড়েছিল।
সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র মদিনার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে। বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষের গাড়ি ডুবে যায়, অনেক জায়গায় রাস্তাঘাটও বন্ধ হয়ে যায়।
সৌদির মতো মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরে শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
অব্যাহত বৃষ্টির কারণে সৌদি আরবের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল। স্টিলের ছাদের ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। একপর্যায়ে ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।