বিনোদন ডেস্ক : দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা বিনোদন জগতে অভিনয় করছেন রিমঝিম মিত্র। তাঁকে দেখে বয়স বোঝা যায় না। এ প্রসঙ্গে কথা উঠলেই বলেছেন, তিনি নাকি ড্রাকুলা। ড্রাকুলাদের যেমন বয়স বাড়ে না, তাঁরও বাড়ে না। আরও একটা বিষয়, তিনি বিয়ে করেননি। এখনও অবিবাহিতই রিমঝিম।
রিমঝিম মিত্র অবিবাহিত। কিন্তু জানেন কি, একবার তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এক ডাকাত। সেই কারণেই কি আর বিয়ের পিঁড়িতে বসা হল না অভিনেত্রীর। কী ঘটেছিল সেদিন রিমঝিমের জীবনে, নিজের মুখেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
ক্লাস সেভেন-এইটে পড়েন রিমঝিম। মমতা শঙ্কর ব্যালে ট্রুপের সঙ্গে নাচ করতেন অভিনেত্রী। বাইরে একটি ট্যুর করতে গিয়েছিলেন সেই ট্রুপের সঙ্গে। ট্রেনে যাত্রা করছিলেন সকলে। এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়েছিল টিকিট। স্টেশনে পৌঁছাতেই একদল সুপুরুষকে দেখতে পান সকলে। রিমঝিম বলেন, “ওই বয়সে তখন সবেমাত্র ছেলেদের দেখা শুরু করেছি। ব্যাপারটা বেশ ভালই লেগেছিল। কিন্তু হঠাৎই স্টেশনে লোডশেডিং হয়ে যায় কিছুক্ষণের জন্য। আলো ফিরতেই দেখা যায় ছেলেগুলো উধাও। তারপর আমরা যে যার মতো ট্রেনে উঠে যাই।”
তারপর রিমঝিম যা বলেছেন, এক কথায় রোমহর্ষক। নাচের দলের মেয়েদের সঙ্গে মমতা শঙ্কর একটা নির্দিষ্ট কম্পার্টমেন্টে বসেছিলেন। রিমঝিম তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে টয়লেটে গিয়েছিলেন। হঠাৎই দেখতে পান মমতা শঙ্করের স্বামী এবং তাঁদের নাচের ট্রুপের একজন ছুটে-ছুটে আসছেন অন্য কম্পার্টমেন্ট থেকে। অপরজনের গা থেকে ঝরছে রক্ত। এসেই তাঁরা জিজ্ঞেস করেন, “ওরা কি এখানে এসেছিল?” তারপরই রিমঝিম এবং তাঁর বান্ধবীকে তাঁরা বলেন ট্রেনের টয়লেটের মধ্যেই থাকতে।
টয়লেট থেকে বেরিয়ে রিমঝিমরা জানতে পারেন, স্টেশনে যে সুদর্শন পুরুষদের দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা, আসলে ছিল ডাকাত। মমতা শঙ্কর নাচের ট্রুপের মেয়েদের নিয়ে যে কম্পার্টমেন্টে ছিলেন, সেখানে তাঁরা আসতে পারেননি। তার আগের কমপার্টমেন্টে আসার আগেই চিৎকার করে বলেছিল, “ওই নাচের দলের মেয়েগুলো কোথায়? ওদেরকে বাড়ি নিয়ে যাব, বিয়ে করব সংসার করব।” এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা রিমঝিম জানিয়েছিলেন তাঁরই এক টকশোতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।