লাইফস্টাইল ডেস্ক : সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনযাপনের ধরনসহ আরও নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। একদিকে কিছু মানুষ যেমন ঘন ঘন রেস্টুরেন্টের নানা অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে দৌড়াচ্ছেন, অন্যদিকে অনেকেই ভালো থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকছেন। এই স্বাস্থ্যকর আর অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলোকে আমরা আসলে মোটাদাগে আলাদা করে দিয়েছি, যেটা সঠিক নয়। ভালো ও মন্দের প্রতিযোগিতায় অনেক খাবারই এই দ্বন্দ্বে পড়েছে। একই খাবারকে একদল বলছেন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, আবার অন্যদল বলছেন এটি স্বাস্থ্যকর। তবে কোনো কোনো খাবারকে ফিটনেস ইন্ডাস্ট্রি ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে অভিহিত করলেও, বিজ্ঞান বলছে এরা স্বাস্থ্যকর আর একেবারে বাদ দেওয়ার মতো নয়। জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়।
আলু
ওজন কমানোর পরিকল্পনা করলেই আমরা আমাদের খাদ্যতালিকা থেকে যে খাবারটি বাদ দিয়ে দেই, তা হচ্ছে আলু। আলু খেলেই মোটা হয়ে যাব—এরকম ভাবেন অনেকেই। তবে বিজ্ঞান পুরোপুরি বিপরীত কথা বলে। অনেকেই ভাবেন, আলুতে থাকা স্টার্চ একে অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় ফেলে দেয়। অথচ আলুতে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ উপাদান, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ইত্যাদি। যদি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা হয়, তাহলে আলু বেশ পুষ্টিকর একটি খাদ্য। আর যাঁরা ওজন কমানো নিয়ে চিন্তিত, তাঁরাও নির্দ্বিধায় খাদ্যতালিকায় আলু যোগ করতে পারেন। কারণ, আলুতে থাকা ফাইবার আমাদের পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। ফলে অল্প খেলেই পেট ভরে যায়।
সাদাভাত
বর্তমানে অনেকেই সাদাভাতের পরিবর্তে লাল চালের ভাত, ওটস, কিনোয়া ইত্যাদি খাওয়ার দিকে ঝুঁকছেন। এই খাবারগুলোর নিজস্ব খাদ্যগুণ অবশ্যই আছে। তবে সাদাভাতকে যাঁরা অস্বাস্থ্যকর খাবার বলে ধরে নিয়েছেন, তাঁদের জন্য খবর এই যে সাদাভাতের পুষ্টিগুণও কিন্তু কম নয়। সাদাভাত গ্লুটেনমুক্ত। তাই যাঁদের হজমের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য সাদাভাত বেশ ভালো একটি খাবার। সাদাভাতে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-ডি, পটাশিয়াম ইত্যাদি। সাদাভাতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ সৃষ্টিকারী ফ্রি র্যাডিকেলের প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে। পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে ওজন কমানোর সময়ও সাদাভাত খেতে পারেন সানন্দে।
চকলেট
ছোটবেলা থেকে আমাদের সবার কাছেই চকলেটকে একটি অস্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে তুলে ধরা হয়। তবে বিজ্ঞান অন্য কথা বলছে। ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। তাই স্বাস্থ্যের জন্য যে ডার্ক চকলেট উপকারী, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আরেকটি মজার তথ্য হলো, ডার্ক চকলেট মন ভালো করতে ও পিরিয়ডের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। তাই পিরিয়ড হোক কিংবা ব্রেকআপ, মন ভালো করতে ডার্ক চকলেটের জুড়ি নেই।
ডিমের কুসুম
ডিমকে স্বাস্থ্যবিদেরা বেশ উচ্চ মর্যাদা দিলেও ডিমের কুসুমের সঙ্গে অনেকেই শত্রুতা পোষণ করেন। অথচ ডিমের এই হলুদ অংশটিতে রয়েছে আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টিগুণ। এর মধ্যে আছে বিভিন্ন ভিটামিন, আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। তাই খাদ্যতালিকায় ডিম যোগ করলে গোটা ডিমটিই খেতে পারেন। এতে স্বাদ ও পুষ্টি দুটিই বাড়বে।
কফি
অতিরিক্ত কফি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। তবে পরিমিত পরিমাণে কফি বয়ে আনতে পারে সুফল। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিপোর্টে প্রমাণিত হয় যে দিনে দুই কাপ কফি ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, লিভারের সমস্যা ও ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।