আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রযুক্তি সেক্টরে শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাইয়ের হিড়িক। তার মধ্যেই মেটার একজন প্রাক্তন কর্মচারী দাবি করেছেন, তিনি এক বছরে ‘কিছুই না’ করার জন্য উপার্জন করেছেন ১ লক্ষ ৯০ হাজার ডলার, যা প্রায় দেড় কোটি রুপির সমান।
ইন্ডিপেনডেন্টের একটি প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। ম্য়াডেলিন মাসাডো নামের ওই কর্মী মেটায় মানব সম্পদ বিভাগে নিয়োগকর্তা বা রিক্রুটার হিসাবে কাজ করতেন। ২০২১ সালের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তিনি জানান, সংস্থার তরফে নতুন করে কোনও কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছিল না। তিনি অফিসে কোনও কাজ না করেই বার্ষিক ১ লক্ষ ৯০ হাজার ডলার উপার্জন করেছেন। তিনি ভিডিওতে বলেছেন, আমাদের প্রথম ছয় মাস, এমনকি প্রথম এক বছরের জন্য কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। এই কথা জেনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, এটা হয়তো সেরা কাজ। এক বছর কোনও কাজ করতে হবে না। অবশ্যই আমি সেই কাজ বেশিদিন করতে পারিনি।
অফিসে থাকাকালীন অবশ্য ম্য়াডেলিন বসে থাকতেন না।
তিনি নানা বিভাগে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতেন। মেটার প্রশিক্ষণ পদ্ধতির প্রশংসা করেছেন ম্য়াডেলিন। কোনও কর্মী নিয়োগ করা না হলেও, রোজ তাদের টিম মিটিং হতো বলে জানান। কিন্তু কীসের জন্য এত মিটিং হতো তা জানতেন না কর্মীরা। কারণ সেইসময়ে কাউকেই নিয়োগপত্র দেয়া হচ্ছিলো না। সেই দিনগুলিকে এখনও ভুলতে পারেননি মেটার এই প্রাক্তন কর্মী। তবে কোনো কাজ না করে বসে বসে মাইনে পাবার খবর শেয়ার করে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হন ম্য়াডেলিন মাসাডো। আর্থিক মন্দার বাজারে টিকে থাকতে বড় বড় সংস্থাগুলি কাঁচি চালাচ্ছে কর্মীদের চাকরিতে। এক ধাক্কায় কাজ হারাচ্ছেন হাজার হাজার কর্মী। সেখানে কীভাবে এক কর্মীকে কিছু না করার জন্যে মাইনে দেয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সম্প্রতি, মেটা দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে এবং বলেছে যে, এই ধাক্কায় ১০ হাজার জনের চাকরি যাবে। নতুন নিয়োগের দরজাও আপাতত বন্ধ।
সূত্র : এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।