আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইনস্ট্যান্ট নুডলসের বৈশ্বিক চাহিদা রেকর্ড ১২ হাজার ১২০ কোটি সার্ভিংয়ে পৌঁছেছে। টানা সপ্তম বছরে চাহিদা বেড়ে ২০২২ সালে সর্বকালের সর্বোচ্চ বিক্রিতে পৌঁছায়। সম্প্রতি জাপানের ওসাকায় ওয়ার্ল্ড ইনস্ট্যান্ট নুডলস অ্যাসোসিয়েশনের সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ওয়ার্ল্ড ইনস্ট্যান্ট নুডলস অ্যাসোসিয়েশনের বরাতে নিক্কেই এশিয়া জানায়, ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর নুডলস সরবারহের সংখ্যা প্রায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। ৫৬টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের আনুমানিক চালানের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। গত বছর ইনস্ট্যান্ট নুডলসের বাজারে শীর্ষে ছিল চীন। এর পরের স্থানে ছিল ইন্দোনেশিয়া। এরপর ভারত, ভিয়েতনাম ও জাপান।
ইনস্ট্যান্ট নুডলস এশিয়াজুড়ে জনপ্রিয়। গত বছর মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক দেশে খাদ্যের দাম বেড়েছে। তবে ইনস্ট্যান্ট নুডলসের দাম কম থাকায় চাহিদা বেড়ে যায়।
করোনা মহামারীর সময় ২০২০ সালে নুডলসের চাহিদা ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছিল। এরপর ২০২১ সালে আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে। কিন্তু ২০২২ সালে ।আবার বাড়ে চাহিদা। বিশেষ করে মেক্সিকোয় ইনস্ট্যান্ট নুডলসের বাজার দ্রুত প্রসার হয়েছে। ২০২১ সালে চাহিদা বাড়ে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং গত বছর প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ শতাংশ। অপরদিকে ২০২১ সালে আমেরিকা বাজার চাহিদা ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়। ২০২২ সালে আবার ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ে।
এশিয়ার অনেক দেশে স্যুপ-নুডলস নিয়মিত খাবারের অংশ। বর্তমানে আমেরিকা ও মেক্সিকোর মতো জায়গায়ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ জাতীয় খাদ্যের জনপ্রিয়তা ওই অঞ্চলে আগে ছিল না।
ইনস্ট্যান্ট নুডলসের অন্যতম প্রস্তুতকারক নিসিন ফুডস জানায়, মূল্যস্ফীতির কারণে আগে ইনস্ট্যান্ট নুডলস খায়নি এমন ভোক্তারাও বর্তমানে কিনছে।
জাপানের নিসিন ফুডস ও টয়ো সুইসান ২০২৩ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে বিদেশী লেনদেন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মুনাফা অর্জন করেছে। উভয় প্রতিষ্ঠানই ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকা ও মেক্সিকোয় ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।