জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম কাস্টমসের নতুন অকশন শেডে কেটে ফেলা ৭৪টি গাড়ি কেজি দরে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস কর্র্তৃপক্ষ। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে অনলাইন নিলাম অথবা প্রকাশ্য নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে সেটি পেছাতে পারে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে গত মাসের ২৫ জুন থেকে চট্টগ্রামের একটি শিল্পগ্রুপের সহযোগিতায় গাড়িগুলো কাটা হয়। এসব গাড়ির মধ্যে ছিল মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, টয় কার, নিশান জিপ, ডাম্প ট্রাক, ডাবল কেবিন পিকআপ, মিনি পিকআপ ভ্যান, এলপি গ্যাস ভাউচার, এসি বাস, মিনি কাভার্ড ভ্যানের মতো গাড়ি। তবে মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় ৪৭টি গাড়ি কাটতে পারেনি কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস। বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস না হওয়া দীর্ঘদিনের পুরনো পণ্য সরাতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সে কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক এবং সদস্য সচিব করা হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার উপ–কমিশনারকে। ওই কমিটির সমন্বয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পুরাতন নিলাম গোলায় পড়ে থাকা গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্য গত বছরের জানুয়ারির দিকে নতুন নিলাম শাখার আঙিনায় স্থানান্তর করে।
পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা ১২১টি গাড়ির বিষয়ে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখে। চিঠির জবাবে বিআরটিএ গাড়িগুলো ধ্বংসের জন্য সুপারিশ করে। এর মধ্যে গত বছরের ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম শাখা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। পরে ১২১টি গাড়ি থেকে পুনরায় যাচাই বাছাই শেষে ৭৪টি গাড়ি কাটার সিদ্ধান্ত হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কয়েকজন নিয়মিত বিডার (নিলামে অংশগ্রহণকারী) জানান, চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে আমদানি পণ্য নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাস্টমসের নিলাম শাখায় আরএল (অখালাসকৃত চালানের তালিকা) প্রেরণ করে। তখন নিলাম শাখা সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে নোটিশ দেয়। নোটিশের ১৫ দিনের মধ্যেও পণ্য সরবরাহ না নিলে সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব গাড়ি যদি আইন মেনে নিলামে তুলত, তাহলে রোদ–বৃষ্টিতে এভাবে নষ্ট হতো না। এছাড়া সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতো।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ–কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলাম অযোগ্য অখালাসকৃত ৭৪টি গাড়ি কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এখন স্ক্র্যাপ হিসেবে কেজি দরে বিক্রি করা হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরে ২০–২৫ বছর আগে আমদানি হওয়া অখালাসকৃত মোট ১৮২টি গাড়ি রোদ–বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়। নিলাম অযোগ্য এসব গাড়ির মধ্যে ১০৮টিতে মামলা থাকার কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমস সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।