আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৯২ সালে মার্কিন ও ফরাসি কৃত্রিম উপগ্রহ টোপেক্স পাড়ি দিয়েছিল মহাকাশে। যার হাত ধরে সমুদ্রের ওপর নজরদারি শুরু করে নাসা। নানা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। সমুদ্র স্তরের বৃদ্ধির দিকেও ছিল কড়া নজর। তারপর থেকে প্রতি বছর ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
২০২০ সালে সেন্টিনেল ৬ নামে আরও একটি উপগ্রহ তারা মহাকাশে পাঠায়। এটি আরও উন্নত প্রযুক্তিতে তথ্য দেওয়া শুরু করে। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে নাসা সমুদ্রের বাড় বৃদ্ধি নিয়ে যে তথ্য দিল তা অনেকের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে।
২০২৩ সালে সমুদ্র স্তর যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে তা অস্বাভাবিক। যার মুখ্য কারণ হিসাবে নাসা তুলে ধরছে ২০২৩ সালে প্রবলভাবে সক্রিয় এল নিনো প্রভাবকে।
নাসা জানাচ্ছে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল অর্থাৎ এই ১টি বছরেই বিশ্বের সমুদ্র স্তর ০.৩ ইঞ্চি বা ০.৭৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা একটা রেকর্ড বৃদ্ধি।
যেহেতু ১৯৯৩ সাল থেকে রেকর্ড রয়েছে নাসার হাতে, তাই এই ৩০ বছরে নাসার হিসাব বলছে সমুদ্র স্তর ৪ ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্ব জুড়ে।
এই সমুদ্র স্তর বৃদ্ধির হারে আবার উত্থান পতনও হয়। যেমন ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে লা নিনা প্রভাব কম থাকায় সমুদ্রের জল সেভাবে ফাঁপতে পারেনি।
আবার ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সেটাই অনেকটা বেড়েছে কেবল সক্রিয় এল নিনো-র প্রভাবে। এভাবে বাড়তে শুরু করলে ২০৫০ সালের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর মানুষের বড় চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।