লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেকেই ওজন কমাতে পরিশ্রম কম করেন না। নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা, জিমে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানা ছাড়াও রোগা হতে আরও অনেক নিয়মই মেনে চলেন কেও কেও। মেদ ঝরানোর এই পর্বে বেশির ভাগ মানুষের খাদ্যতালিকায় ভাভ একেবারেই থাকে না বলা যায়। কার্বোহাইড্রেট থাকার কারণে অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভাত এড়িয়ে চলেন।
অথচ পুষ্টিবিদরা বলেছেন, রোগা হতে হলে ভাত না খাওয়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই (বাকামি। প্রতিদিনের ডায়েটে এক চামচ ভাত হলেও রাখা অত্যন্ত তারুরি। তবে তারা এই সম্পর্কিত একটি নতুন তথ্য সামনে উঠিয়ে নিয়ে এসেছেন। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, ওজন কমাতে নতুন রান্না করা ভাতের চেয়েও বাসি ভাত অনেক বেশি কার্যকরি। শুনতে অবাক লাগলেও পুষ্টিবিদরা এমনটাই বলেছেন।
তাতে স্টার্চের পরিমাণ অন্য অনেক খাবারের চেয়ে বেশি। তবে গরম ভাতের চেয়ে বাসি ঠাণ্ডা ভাতে স্টার্চের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। গরম ভাতে স্টার্চ যতোটা ভরপুর পরিমাণে থাকে যতো সময় গড়ায় এই উপাদান ততোই কমতে থাকে। ওজন কমাতে তাই কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে এই বাসি ভাত। হজমশক্তি উন্নত করতেও বাসি ভাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিপাকক্রিয়া ঠিক থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহতা হয়ে যাবে।
আবার কেবলমাত্র ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা ছাড়াও বাসি ভাত আরও বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও বাসি ভাত সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও বাসি ভাতে ফাইবারও থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাসি ভাত দ্বকের ঔজ্জ্বল্যও বৃদ্ধি করে। ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগান দেয় এই বাসি ভাত। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রণসমৃদ্ধ বাসি ভাত আরও বিভিন্নভাবে শরীরের যত্ন নেয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।