উদ্বোধনের চার মাসেই ঝড়ে উড়ে গেল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের চাল

ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের ঘিওরে উদ্বোধনের চার মাসের মধ্যেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরের টিনের চালা কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে।

ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের জোকা এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে ১৯টি ঘরের মধ্যে একটি ঘরের টিনের চালা উড়ে যায় এবং আরো কয়েকটি ঘরের চালার ফাঁকফোকর দিয়ে বৃষ্টির পানি ও ময়লা ঢুকে আরো কয়েকটি ঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যাওয়া ঘরের জিনিষপত্র গুছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। দুই জন কাঠমিস্ত্রী একটি ঘরের চালা মেরামতের কাজ করছেন। আতঙ্কিত হয়ে পাশেই বসে আছেন ওই ঘরের বাসিন্দা করিমন বেগম। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মচারী ঘর মেরামতের বিষয়টি দেখভাল করছেন।

ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর
ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের চালা মেরামত করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ওই ঘরের বাসিন্দা করিমন বেগম বলেন, ঝড় আসলে আমি এমনিতেই খুব ভয় পাই। গতকাল সন্ধ্যায় ঝড়ের সময় আমার ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। হাড়ি-পাতিল সহ ঘরের অনেক জিনিষপত্রও আশপাশে উড়ে গেছে। তবে আল্লাহ বাঁচাইছে ঘর নষ্ট হলেও আমার মেয়েটার কিছু হয় নাই।

আরেক ঘরের বাসিন্দা জরিনা বেগম বলেন, আমাদের ঘরগুলো আরেকটু ভালো করে বানিয়ে দিলে কি এমন ক্ষতি হতো। ঝড়ের সময় আমার ঘরও অনেক কাঁপছে। ঘরে বৃষ্টির পানি ও ময়লা এসে খাবার নষ্ট হয়ে গেছে।

ঝড়ের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর
দুইজন কাঠমিস্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ঘরটি মেরামত করছেন। ছবি: সংগৃহীত

বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আওয়াল খান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরের টিনের চালা উড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং পিআইও অফিসকে সেটা অবগত করেছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রায় চার মাস আগে ভূমিহীনদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে একটি ঘর সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাৎক্ষণিক সেটা ঠিক করে দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।