জুমবাংলা ডেস্ক : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটাতে এবার ঠাকুরগাঁওয়ের সেই ‘স্বর্ণের পাহাড়ে’ মাটি পরীক্ষায় নেমেছে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটি পরীক্ষা- নিরীক্ষা করেন ভূতাত্ত্বিক অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী।
গত এক মাস ধরে ওই ইউনিয়নের আরবিবি ইটভাটায় বিভিন্ন স্থান থেকে আনা মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যাচ্ছে সোনা এ খবরে এলাকার লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কোদাল, বশিলা ও সাবল নিয়ে স্বর্ণের খোঁজে মাটি খুঁড়তে থাকে তারা। এভাবে মাটি খোঁড়া চলতে থাকলে উপজেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার অবনতি কথা চিন্তা করে ২৫ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এবং সেই স্থানে লাল কাপড় টানিয়ে দেয়াসহ মাটি সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তবে সোনা পাওয়ার বিষয়টি কতটুকু সত্য তা যাচাইয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ ইটভাটার স্তূপের মাটি ও মাটি সরবরাহকৃত স্থানসহ অন্যান্য মাটি পরীক্ষা করতে মঙ্গলবার (২৮মে) ভূতাত্ত্বিক অধিদফতরে আবেদন করেন।
পরবর্তীতে ভূতাত্ত্বিক অধিদফতর দুজন সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) কে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত মাটির স্তূপসহ অন্যান্য স্থানের মাটি পরীক্ষা, অনুসন্ধান ও স্ক্যান করে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে ভূতাত্ত্বিক অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম বলেন, আমরা তিনটি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। এরপর এ মাটির নমুনা প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে জমা দেবো পরীক্ষার জন্য। তবে পরীক্ষার আগে কিছুই বলা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ প্রমুখ।
তবে ১৪৪ ধারার পর থেকে সেখানে আর কেউ যায়নি মাটি খুঁড়তে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।