জুমবাংরা ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরে সয়াবিনের বাম্পার ফলনে আশার আলো দেখিয়েছে কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২-১ দিনের মধ্যে সয়াবিন ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তারা। তবে বাম্পার ফলনেও আশানুরূপ মূল্য পাচ্ছেন না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। চ্যানেল ২৪-এর প্রতিবেদক মোঃ সোহেল রানা-র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
কৃষি বিভাগ বলছে, পরামর্শের পাশাপাশি সকল ধরনের সহযোগিতার ফলে এ বছর সয়াবিন থেকে ৩ শ কোটি টাকারও বেশি আয় হবে বলে আশা করছেন তারা।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, দেশের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ সয়াবিন উৎপাদন হয় লক্ষ্মীপুরে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আবাদ, বাম্পার ফলন, টানা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এ জেলা সয়াবিনের রাজধানী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। সয়াবিন চাষে জমিতে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই বলে অল্প খরচে বেশী লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে জানান কৃষকরা। তবে, ভালো ফলনেও এবছর দাম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। জেলায় সয়াবিন প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি সরকারিভাবে সংরক্ষণের দাবি তাদের।
চররমনি মোহন এলাকার কৃষক হাফেজ আহম্মেদ, আমান উল্যাহ ও সেকান্তর মিয়া সহ কয়েকজন জানান, সয়াবিন চাষে তাদের বাড়তি ঝামেলা নেই। শুধু জমি চাষাবাদ করে বীজ বপন এবং একটু পরিচর্যাতেই পর্যাপ্ত ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। তবে ঋণগ্রস্ত এসব কৃষক মহাজনদের কাছ থেকে তাদের উৎপাদিত সয়াবিনের ন্যায্য মূল্য পাননা দাবি করে বলেন, সরকারিভাবে সয়াবিন কিনলে করলে কৃষক ন্যায্য মূল্য পেতেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. জাকির হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে চাষিরা উন্নতজাতের বীজ বোপন ও সুষম সারের ব্যবহারের ফলে এবার ফলন ভাল হয়েছে। এ বছর লক্ষ্মীপুর জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৫শ ৪০ মেট্রিক টন, যার বাজার মূল্য তিনশ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।