জুমবাংলা ডেস্ক : শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ধলেশ্বরী তীরে মিরকাদিম মাছের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে বসেছে। হাটে রূপালি ইলিশের ঝিলিক। শরতের ভোরেই হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার পাদচারণায় মুখরিত পুরো এলাকা। ভোরে ইলিশ দাম কিছুটা কম থাকলেও চাহিদা বাড়তেই ছুটির দিনে কেজি প্রতি দাম হাঁকা হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। গেল সপ্তাহে দর ছিল এক হাজার ৪০০ টাকা। এরপরও পাইকারি ডাকে জাতীয় মাছ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।
এছাড়া রুই, কাতল, আইড়, পাঙ্গাশ, চিংড়ি, রিঠা, কৈ-শিংসহ স্থানীয় খাল-বিলের তাজা মাছেরও ধুম বিক্রি হয়। তবে মাছের ভরা মৌসুমে দাম না কমায় ভোক্তারা দায়ী করছেন সিন্ডিকেট ও মজুদদারদের।
মিরকাদিম দরগাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা শামীম মিয়া বলেন, মাছের দাম অবশ্যই সিন্ডিকেট করে রাখছে। যার জন্য দাম বাড়তি। বিশেষ করে যারা বড় বড় ব্যবসায়ী আছে তারা সিন্ডিকেট করে হিমাগারে রাইখা দেয় মাছ। পদ্মাসেতুর ফলে মাছে দ্রুত আসলেও মাছের দাম কমছে না।
মাছ কিনতে আসা মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা শিমুল দেওয়ান বলেন, এখন তো ভরা মৌসুম। মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ার কথা। এসময় বাজারে মাছের দাম কম থাকার কথা। মাছের ঊর্ধ্বগতির কারণে মাছ কিনতে পারছি না। ইলিশের দামটা আরও কম থাকার কথা এসময়। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ বড় ইলিশ কিনে খাওয়া দুষ্কর।
তবে আড়তদাররা বলছেন, সমুদ্রে মাছ পাওয়া গেলেও মিঠাপানিতে মাছ তেমন নেই। এর প্রধান কারণ অবৈধ কারেন্ট জালের দাপট। তাই দাম কমেছে না।
মিরকাদিম মৎস্য আড়ৎ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী রুহুল আমিন বলেন, ভরা মৌসুমে যেখানে মাছের আমদানিটা বেশি হওয়ার কথা। এখানে ভরা মৌসুমে আমদানি কম। মিঠা পানিতে মাছ ধরা পড়ছে না। যে মাছ ধরা পড়ে তা সারা বাংলাদেশেই সাপ্লাই হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে আমাদের এখান থেকে অন্যান্য জায়গায় মাছের দাম বেশি। এজন্য আমাদের এখানে ইলিশ মাছটা কম আসতেছে। তবে ছোট আকারের মাছ বেশি।
জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। আর অবৈধ কারেন্ট জাল ফ্যাক্টরির সংখ্যা প্রায় ৪০০। ধলেশ্বরী তীরের শতাব্দী প্রাচীন এই হাটে ৪৫ আড়ৎ ঘিরে জড়ো হয় কয়েক হাজার মানুষ।
মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় বছরে ১১ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে মাছ উৎপাদন হয় প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন। আর প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টায় হাটে বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।