জুমবাংলা ডেস্ক : দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর দক্ষিণের সাগর ও উপকূলে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২ মে) সকাল থেকে নোয়াখালী ও ভোলার বিভিন্ন স্থান থেকে সাগর মোহনা ও উপকূলে ধরা পড়া ইলিশের চালান পৌঁছে গেছে চাঁদপুরে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, আকারভেদে প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
আর দরদাম ভালো হওয়ায় ইলিশের সেই চালান নিয়ে বেপারীরা চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে ভিড় করছেন। তবে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় এখনো মিলছে না ইলিশ। মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট বেপারী জানান, বাজারে উপকূলীয় অঞ্চলে ধরা ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু আকারে ছোট ও মাঝারি। তবে দরদামের দিক থেকে অনেকটা কমও। পাইকারি বাজারে মঙ্গলবার প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। একসঙ্গে সামান্য বড় আকারের কিছু ইলিশ মিলছে। যেগুলো পদ্মা ও মেঘনার। কিন্তু সরবরাহ কম এবং চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশ চড়া। প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়।
এদিকে, বড়স্টেশন পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবেবরাত জানান, জাটকা সংরক্ষণে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছেন সাগর ও উপকূলের জেলেরা। তবে এর সঙ্গে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়লে স্থানীয় জেলে এবং নদীপাড়ের ক্ষুদে মাছ ব্যবসায়ীরা উপকৃত হতেন।
অন্যদিকে, সাগর ও উপকূলের বাইরে নদ-নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়া প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষ মৎস্য বিজ্ঞানী ও ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান জানান, এসব এলাকায় ইলিশের বিচরণ বৃষ্টিপাত ও নদীর পানির স্রোতের ওপর নির্ভর করছে। তবে জেলেদের হতাশ না হয়ে একটু অপেক্ষা করার অনুরোধ জানান তিনি।
জাটকা সংরক্ষণে গত পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনাসহ দেশের ছয়টি অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে গত পহেলা মে ভোর রাতে। তারপর থেকে পুরোদমে নদীতে মাছ ধরতে নামেন জেলেরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।