জুমবাংলা ডেস্ক : ‘বিশ্বকে অবাক করে পদ্মা সেতুও এবার বলে দিচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা এই তো শেখ হাসিনা’- এ রকম লেখার নিচে স্বরচিত কবিতার গুচ্ছ লিখে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্বাগত জানানো ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়া আনন্দ ভাগ করে দিতে বাঁশের চাঁটাইয়ে নিজের লেখার কাগজটি আটা দিয়ে সেঁটে ৮০ বছর বয়সেও মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে সাধারণ জনতার দৃষ্টি কাড়ছেন তিনি।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ও বাজারে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হচ্ছেন অধ্যাপক আফেন্দি নুরুল ইসলাম।
ময়মনসিংহের নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ থেকে অবসর নিয়েছেন ১৪ বছর আগে। বর্তমানে তিনি পৌরশহরের চন্ডীপাশা মহল্লায় বসবাস করেছেন। যারা তাঁর কাছে পড়েছেন বা পড়েন নাই সকলেই ‘স্যার’ বরেই সম্বোধন করেন। এক পরিচয় ‘আফেন্দি স্যার’। বেশ কয়েক বছর ধরেই অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও থেমে নেই তাঁর প্রতিবাদ ও সমালোচনা। বিশেষ করে সরকারের ভালো কাজে প্রশংসা ও খারাপ কাজের সমালোচনা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একই সড়কে নেমে জনসাধারনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এবারো এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে এবার আর প্রতিবাদ নয়, এমনকি সমালোচনাও নয়। এবার তিনি আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে সেই আনন্দকে ভাগ করে দিচ্ছেন সবার মাঝে। কবিতার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন শেখ হাসিনাকে। প্ল্যাকার্ডটি ছিল ২৪২তম। লেখা ছিল ‘আর সন্ধ্যা নামে না’ এরপরই তিনটি গুচ্ছে ১০ লাইনের কবিতার ছন্দে তিনি তিনি শেখ হাসিনা ও পদ্মা সেতুকে নিয়ে লিখেছেন। শেষ গুচ্ছে লিখেছেন, ‘উত্তরে আর শিরে মেঘালয়ে, দক্ষিণে তার চরণে সাগর আর গর্বিত বাঘের সুন্দরবন, বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে আর সন্ধ্যা নামে না, বিশ্বকে অবাক করে পদ্মা সেতুও বলে দিচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা এই তো শেখ হাসিনা। এই অভিনব আনন্দকে বাহাবা দেন অনেকেই। অনেকে পেছন পেছন যান। হাত তালি দিয়ে স্বাগতও জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।