আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমানে তাপদাহ চলছে বাংলাদেশে। তাপমাত্রা উঠে গেছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। তাতেই একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা। হিটস্ট্রোকেও মারা যাচ্ছে মানুষ। ধরুন, ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠে যায়, তাহলে কী হবে? আসলে এমন মাপমাত্রা কল্পনাই করা যায় না। অথচ এটাই সত্য, এই ভূ-পৃষ্ঠেই তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি উঠে যাচ্ছে।
এতদিন ধরে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেড ভ্যালি মরুভূমি এলাকাকে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গা হিসেবে মনে করা হতো। যেখানে তাপমাত্রা ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। অবাক করা তথ্য হচ্ছে, গ্রীষ্মকালের ভয়াবহ এমন তাপমাত্রা সহ্য করে সেখানে বসবাস করছেন কয়েকশত মানুষ।
কয়েক দশক ধরে অবশ্য এটাই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, শুধু ডেড ভ্যালি নয়, ইরানের লুত (দাস্ত-ই-লুত) আর উত্তর আমেরিকার সোনোরান অঞ্চলের তাপমাত্রা ,আমরা যা জানি তার চেয়েও ভয়াবহ। দুই দশক ধরে উচ্চ রেজ্যুলেশনের স্যাটেলাইট তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, লুত আর সোনোরান মরুভূমির তাপমাত্রা মাঝে মধ্যে ৮০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। যা চরম বিপজ্জনকমাত্রা। যেখানে ভ্রমণ করার ইচ্ছা কল্পনাতেও আনা ঠিক নয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রায় ২০০ মাইল জুড়ে বিস্তৃত লুত মরুভূমি। পাহাড়ে ভরা থাকায় সেখানে গরম বাতাসকে আটকে রাখে। ফলে বাতাসের তাপমাত্রা চরম অবস্থায় উঠে যায়। সেখানে একবার দাঁড়ালে যে কারো শরীরে ফোস্কা পড়ে যাবে। তথ্যমতে, ২০০২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে লুতের তাপমাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
সোনোরান মরুভূমি
আগের এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গা লুত মরুভূমিতে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাসার নতুন সফটওয়্যারের ডেটা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলেছেন, লুত মরুভূমির তাপমাত্রা আগের ধারণার চেয়ে আসলে আরো ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর মেক্সিকোর সীমানা চিহ্নিত করা সোনোরান মরুভূমিতেও একই ধরনের চরম তাপমাত্রা বিরাজ করে। যদিও তা লুত মরুভূমির মতো ঘন ঘন নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।