জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শীত জেঁকে বসেছে। শনিবার দেশের ১৭ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রির নিচে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন তাপমাত্রা আরেক দিন অবস্থান করলেই শৈত্যপ্রবাহ ঘোষণা করা হবে। কিছু অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির শনিবার বলেন, তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। রাতে আরও কিছুটা তাপমাত্রা কমলেও শৈত্যপ্রবাহ বইছে এমনটা বলা যাচ্ছে না। আমরা আরও একটা দিন অপেক্ষা করব। পরদিন বেশ কিছু এলাকার তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ৪, রাজারহাটে ১১ দশমিক ৫, চুয়াডাঙ্গা, সীতাকুণ্ড, সৈয়দপুর, বদলগাছী ও ঈশ্বরদীতে ১২, দিনাজপুরে ১২ দশমিক ২, যশোর, কুমিল্লা, ডিমলা ও রাজশাহীতে ১২ দশমিক ৫, ফেনীতে ১২ দশমিক ৬, গোপালগঞ্জে ১২ দশমিক ৪, বরিশাল ও নিকলিতে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল এবং নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পঞ্চগড় : তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, দুই সপ্তাহ ধরে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১৩ ডিগ্রিতে ওঠানামা করলেও শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চলতি শীত মৌসুমে দেশের এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ মাসের শেষ দিকে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
কুড়িগ্রাম : ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন হচ্ছে। বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।