জুমবাংলা ডেস্ক : এক সময় মফস্বলের গ্রামগুলোতে মাটির ঘর ছিল। তখন রাতের বেলা মাটির ঘরে সিঁধ কেটে অহরহ চুরির ঘটনা ঘটতো। বর্তমানে অধিকাংশ ঘর ইটের তৈরি হওয়ায় এখন আর সিঁধ কেটে চুরির ঘটনা চোখে পড়ে না। মানুষ যখন প্রায় ভুলেই গেছে, তখনই এক রাতেই তিন ঘরে চারটি সিঁধ কেটে চুরি হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে শরীয়তপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্বর্ণঘোষ গ্রামে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শরীয়তপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্বর্ণঘোষ গ্রামের অসীম কুমার দাস, মহাদেব চন্দ্র দাস ও বিপুল চন্দ্র দাসের মাটির ঘরে শুক্রবার দিবাগত রাতে এই সিঁধ কাটার ঘটনা ঘটে।
চুরি হওয়া বাড়ির মালিক মহাদেব ও অসীম কুমার জানায়, রাত সাড়ে ৩টার দিকে মহাদেব চন্দ্র দাসের ঘরে এক শিশু কেঁদে উঠলে ঘরের সবার ঘুম ভেঙে যায়। তখন তারা দেখতে পায় ঘরে সিঁধ কাটা হয়েছে এবং ততক্ষণে চোর মোবাইল, ঘড়ি ও কাপড়চোপড় নিয়ে পালিয়েছে।
স্বর্ণঘোষ গ্রামের আরেক বাসিন্দা সাফ্ফার সিকদার বলেন, ‘সিঁধ কাটার ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। একই রাতে তিন ঘরে চারটি সিঁধ কাটার ঘটনা উদ্বেগজনক।’
এই চুরির ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ স্বর্ণালংকার বেশি ব্যবহার করে থাকেন। এই স্বর্ণালংকার চুরি করতেই সিঁধ কাটতে পারে আমার মনে হচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বেকারত্বের কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমার ধারণা।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সিঁধ কেটে চুরির ঘটনাটি আমি শুনেছি। কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনাটি আমার কাছে অন্যকিছু মনে হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।