জুমবাংলা ডেস্ক : ‘যেহেতু আপনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়েন। আপনি অবশ্যই জানেন যে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যদি বান্দা ক্ষমা না করেন। ১২-১৩ বছর পর আপনাকে সামান্য টাকাটা দিয়ে আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। জানি এই সামান্য টাকা আপনার কিছুই হবে না। তাও এই টাকাটা গ্রহণ করে আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ করে দিন। এই আশায় আপনাকে ৩ হাজার টাকা পাঠালাম। দয়া করে এটি নিয়ে আমাকে ক্ষমা করে দিন।’
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া বাজার পোলট্রি ব্যবসায়ী কাইয়ুম মল্লিক। দীর্ঘদিন বাজারে ব্যবসা করেন তিনি। আজ বুধবার সকালে দোকান খুলতে গিয়ে একটি চিরকুট ও একটি খামে ৩ হাজার টাকা পান। সেই চিরকুটে এসব লেখা ছিল।
সালাম দিয়ে শুরু হওয়া চিরকুটে আরও লেখা রয়েছে, ‘আমাকে চিনবেন কিনা জানি না। কিন্তু … আপনি খুব ভালো মানুষ। … আমি আপনার দোকান থেকে ছোটবেলায় কিছু…। টাকার পরিমাণ আমার মনে নেই। হয়তো ২০০০, ২৫০০, ৩০০০, ৪০০০ বা এর থেকে কম-বেশি হতে পারে।’
‘আমি আসলে গরিব মানুষ। কি বলব, শয়তানের অসওয়ায়ই হোক আর নিজের অভাবের কারণেই হোক, চুরি করার কারণেই হোক আমি আমার ভুল স্বীকার করছি। আসলে আমি বিষয়টা নিয়ে খুব লজ্জিত এবং অনুতপ্ত। আর এর জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী কাইয়ুম মৌলিক বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার সকালে দোকান খুলি। শাটারের পাশেই দেখি, একটি খাম পড়ে আছে। তা উঠিয়ে দেখি, খামের মধ্যে চিঠির মতো মনে হয়। খুলে দেখি একটি চিঠি এবং ৩ হাজার টাকা। আসলে এই মহান ব্যক্তিকে আমি মন থেকে দোয়া করি, তিনি যেন সুখে থাকে। আমি তাঁকে মাফ করে দিয়েছি। আল্লাহ যেন তাঁকে মাফ করে দেন।’
এ বিষয়ে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ রকম লোকের দেখা পাওয়া দুষ্কর।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।