স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৩ সালটা লিওনেল মেসির জন্য ’বিশেষ’ বছর ছিল তা বলাই যায়। ২০০০ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইউরোপের বাইরের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন মেসি। এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে প্রথম মৌসুমে লিগস কাপো জিতেছেন তিনি। ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি শিরোপাজয়ী খেলোয়াড়েও পরিণত হয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। নতুন বছরেও তার সামনে আরও কয়েকটি শিরোপার হাতছানি।
জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে ২০২৪ সালে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন মেসি। নতুন বছরের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে বসবে কোপা আমেরিকার আসর। এই প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার আর্মব্যান্ড তার হাতেই থাকছে। অনেকের ধারণা, এই প্রতিযোগিতার ওপরেই মেসির জাতীয় দলের ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভর করছে। এছাড়া ইন্টার মায়ামির হয়ে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশ নেবেন মেসি। সব মিলিয়ে মেসির সামনে নতুন বছরে আটটি শিরোপা জেতার সুযোগ আছে।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে যেসব শিরোপা জিততে পারেন মেসি-
২০২৪ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ত সময় কাটাবেন মেসি। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের খেলা ও প্রীতি ম্যাচের ব্যস্ততা তো আছেই , আর্জেন্টিনার সামনে চ্যালেঞ্জ কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখারও।
জুনের ২০ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার আসর। লিওনেল স্ক্যালোনির দল ফেবারিট হিসেবেই শেখানে অংশ নেবে। এই কোপা আমেরিকা খেলেই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে বিদায় জানাতে চান অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। টানা দ্বিতীয়বারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিততে মেসি যে মরিয়া হয়ে খেলবেন তা বলাই যায়।
কোপা আমেরিকা শেষ হওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই প্যারীসে বসবে অলিম্পিকের আসর। তার আগে এই জানুয়ারির শেষের দিকে প্রি-অলিম্পিকের ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। মেসির এক সময়ের সতীর্থ হাভিয়ের মাশচেরানোর অধীনে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২৩ দল যদি প্রি-অলিম্পিক রাউন্ড পেরিয়ে মূল প্রতিযোগিতায় পা রাখতে পারে তবে সেখানে দেখা যেতে পারে মেসিকে। অলিম্পিকে যদিও অনূর্ধ্ব ২৩ দলকে খেলানো হয় তবে স্কোয়াডে তিনজন ২৩ এর বেশি বয়সী খেলোয়াড় খেলানো যায়, যেখানে মেসিকে খেলাতে চান তার এক সময়ের সতীর্থ মাশচেরানো।
২০০৮ সালে সবশেষ মেসির হাত ধরেই অলিম্পিকে সোনা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার অলিম্পিক সোনাকে পাখির চোখ করা মাশচেরানো এই বিষয়ে বলেন, ’যদি সে (মেসি) খেলতে চায়, তবে তাকে স্বাগতম, তবে তার আগে আমাদের বাছাই পর্ব পার হতে হবে। জাতীয় দলের দরজা তার জন্য সবসময় খোলা এবং সে যা চাইবে তাই হবে, এটাই বাস্তবতা। তার সঙ্গে আমার দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং আমি এটা ভালোবাসি।’
ইন্টার মায়ামির হয়ে যে ছয় শিরোপা জিততে পারেন মেসি-
গতবছর মেসি যখন ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন, ততদিনে এমএলএসের মৌসুমের অনেকটাই পেরিয়ে গেছে। ইস্টার্ন কনফারেন্সে ইন্টার মায়ামি একদম তলানিতে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতে নতুন মৌসুম গড়ালে এবার শুরু থেকেই খেলবেন মেসি। তাই এমএলএসের শিরোপা জেতার সুযোগ থাকছে মেসির সামনে। আর গতবারের মতো লিগস কাপ জেতার সুযোগ তো থাকছেই।
গত মৌসুমে শুধু লিগস কাপ জিতেছিল ইন্টার মায়ামি। মেসির একক নৈপুণ্যে এই শিরোপা ইন্টার মায়ামির ঘরে আসে, যা তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা। এই লিগস কাপ জেতায় ইন্টার মায়ামি ‘ইন্টার-আমেরিকান’ কাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টের সূচি নির্ধারিত না হলেও এখানে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন লিওন দে মেক্সিকো, কোপা লিবের্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন ফ্লুমিনেন্স এবং কোপা সুদামেরিকানা চ্যাম্পিয়ন লিগা দে কুইতোর অংশ নেওয়ার কথা।
ইন্টার মায়ামির হয়ে চতুর্থ টুর্নামেন্ট হিসেবে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবেন মেসি। যেখানে রাউন্ড অব সিক্সটিনে ন্যাশভিলে ও ডমিনিকান রিপাবলিকের দেপোর্তিভো মোকার মধ্যকার বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। এখানে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে বছরের শেষে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে (ক্লাব বিশ্বকাপের নতুন সংস্করণ) অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে মায়ামি। এটি ২০২৫ সাল থেকে প্রতি চার বছর অন্তর মাঠে গড়ানোর কথা।
মেসির জন্য ষষ্ঠ শিরোপার সুবাস নিয়ে আসতে পারে ইউএস ওপেন কাপ। গত মৌসুমে এই প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ হয়েছিল মেসির দল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।