জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসরের পর্দা নামবে আর মাত্র তিনদিন পর। তাই আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মেলার শেষ সময়ে এসে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। তাই হাসি ফুটেছে বিক্রেতাদের মুখে। সব মিলিয়ে শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলা।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই মেলায় আসতে থাকেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে ক্রেতাদের সংখ্যা বেড়েছে। সকাল থেকেই মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আসতে থাকলেও বিকেল হতেই তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এতে খুশি মেলার আয়োজক ও ব্যবসায়ীরা।
দর্শনার্থী কাওসার খান বলেন, গত মাসে মেলা শুরু হলেও আসার সময় হয়নি। আজ সময় করে পরিবার নিয়ে চলে এসেছি। ঘুরাঘুরির পাশাপাশি কিছু কেনাকাটাও করব।
সাকিব বেপারি নামের এক বিক্রেতা বলেন, সকাল থেকেই মেলায় দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। সকাল থেকে মোটামুটি বেচাকেনা ভালো। মেলার শেষ সময়ে এসে বিক্রি ভালো হবে বলে মনে হচ্ছে।
মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর বেশি ভিড় রয়েছে। মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি, শেষ কয়েকদিন মেলায় আরও মানুষের সমাগম ঘটবে। ২০ ফেব্রুয়ারি মেলা শেষ হবে। মেলার সময় বাড়ানো হবে না।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইবিপি) সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ৩৩০টি, যা গত বছর ছিল ৩৩১টি। এবারের মেলায় ভারত, পাকিস্তান, হংকং, তুর্কিসহ অন্তত ১৮ থেকে ২০টি দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। এ আসরে মেলার প্রধান ফটকটি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে। গত আসরে মেলার বড়দের প্রবেশ ফি ৪০ টাকা থাকলেও এবার তা ৫০ টাকা করা হয়েছে। আর শিশুদের প্রবেশ ফি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা ধরা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রবেশ ফ্রি করা হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আর ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলছে। রাজধানীর ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য আলাদা বাস ছাড়বে। এ জন্য ফার্মগেট থেকে ৭০ টাকা ও কুড়িল থেকে ৩৫ টাকা মূল্যের টিকিট কাটতে হবে দর্শনার্থীদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।