মুফতি আবদুল্লাহ তামিম : দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশ মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জহির মসজিদ। ১৯১২ সালে সুলতান তাজউদ্দিন মুকাররাম শাহের ছেলে টুংকু মাহমুদ এ মসজিদ নির্মাণ করেন।
ইসলামের পাঁচ মূল স্তম্ভের প্রতীক হিসেবে মসজিদটিতে রয়েছে পাঁচটি গম্বুজ। মজিদের এ গম্বুজগুলোই মসজিদটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। সবগুলো গম্বুজই কালো রঙে সজ্জিত করা।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার লংকাটে অবস্থিত আজিজি মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জহির মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
মালয়েশিয়ার প্রচীন ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলোর মধ্যে জহির মসজিদ অন্যতম। এ মসজিদেই প্রতি বছর দেশের বার্ষিক কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কিরাত প্রতিযোগিতা, ইসলামি জ্ঞান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ১০ মসজিদের একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল মসজিদটি।
প্রয়াত সুলতান আবদুল হামিদ শাহ ১৯১৫ সালের ১৫ অক্টোবর শুক্রবার মসজিদটি উদ্বোধন করেন। সেসময় টুঙ্কু মাহমুদ জুমার খুতবা পাঠ করেন। জুমার নামাজের ইমামতি করেন মহামান্য সুলতান আবদুল হামিদ শাহ। জহির মসজিদের পিছনে, একটি শরিয়াহ কোর্ট বিল্ডিং কমপ্লেক্স ও একটি মাদরাসা রয়েছে।
এতিহ্যবাহী প্রচীন জহির মসজিদের ৮ ফুট চওড়া একটি বারান্দা দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে। যার প্রতিটিতে একটি করে গম্বুজ রয়েছে। এই মসজিদটি নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় ৩ বছর।
ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদের একটি শাহী ফটক রয়েছে। ফটকের উপরে আরবিতে লেখা রয়েছে মসজিদটির নাম। মালয়েশিয়ার কেদাহ প্রদেশের লোকদের কাছে এটি শুধু একটি মসজিদই নয়, এখানে রয়েছে কেদাহ অঞ্চল রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হওয়া শত শত সৈনিকের সামাধি। ১৮২১ সালের যুদ্ধে সিয়ামিজদের থেকে এ রাজ্য রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হোন তারা।
মসজিদটি কেদাহ রাজ্যের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। মালয়েশিয়ার অন্যতম সুন্দর মসজিদ। বিশ্বের নানা দেশ থেকেও পর্যটকরা এ মসজিদ দেখতে ছুটে আসেন মালয়েশিয়ায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।