বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : স্মার্টফোনের জগতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ আনতে চলেছে বহুজাতিক মুঠোফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নকিয়া। ভয়েস কলিং-এর ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির নাম ‘ইমারসিভ অডিও অ্যান্ড ভিডিও।’ এই প্রযুক্তিতে উন্নততর ভয়েস কলের সুবিধা পাবেন গ্রাহকেরা।
সোমবার সুইডেনে সংস্থার সিইও পেক্কা লুন্ডমার্ক জানিয়েছেন, ফোনে কথোপকথন করার সময় যেন উন্নত ভয়েস কোয়ালিটির সুবিধা উপভোগ করা যায় তার জন্য সংস্থা ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি অর্থাৎ থ্রি ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে।
১৯৯১ সালে সংস্থার তৈরি প্রথম টু-জি ফোনের উদ্বোধনের সাক্ষী ছিলেন পেক্কা। ইমারসিভ অডিও অ্যান্ড ভিডিও প্রযুক্তির উদ্বোধনের পর তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করলেন, ‘ভয়েস কলের ভবিষ্যৎ আমরাই তৈরি করবো।’
তার মতে, নতুন এই প্রযুক্তির ব্যবহারে গ্রাহকের মনে হবে, তিনি ফোনের অপর প্রান্তে বসে থাকা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে নয়, বরং তার মুখোমুখি বসেই কথা বলছেন। বর্তমানে ভয়েস কলিং-এর ক্ষেত্রে যে প্রযুক্তি ব্যবহার হয়, তার নাম মনোফোনিক প্রযুক্তি। এতে কণ্ঠস্বরের প্রকৃত মান হ্রাস হয়। ওপর প্রান্তে থাকা কণ্ঠস্বরটিকে যান্ত্রিক স্বর বলে মনে হয় ইমারসিভ অডিও অ্যান্ড ভিডিও প্রযুক্তির ব্যবহারে শুধু ভয়েস কল নয়, কনফারেন্স কলের মানও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
পেক্কা একটি ফোনালাপের মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। তার ফোনের অপরপ্রান্তে ছিলেন স্তেফান লিন্ডস্টরম। ফিনল্যান্ডে সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই কল করা হয়েছিল। শুধুমাত্র উন্নত ভয়েস কল নয়, ব্যক্তির পারিবেশিক পরিস্থিতির সাথেও এই কলের গুণমান পরিবর্তিত হবে। লুকান্ডার বলেছেন, এই প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলি, চিপসেট ও মুঠোফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি ব্যবহার করতে পারবে।
নকিয়া টেকনোলজিসের অডিও রিসার্চের প্রধান জেরি হুওপানিমি বলেন, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ইমারসিভ কল ছাড়াও কনফারেন্স কলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে। অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠস্বর অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে আলাদা করা যায় এ প্রযুক্তিতে। বেশির ভাগ স্মার্টফোনে কমপক্ষে দুটি মাইক্রোফোন থাকে, যার সাহায্যে এই প্রযুক্তি বাস্তব সময়ে একটি কলের স্থানিক বৈশিষ্ট্য প্রেরণ করতে পারে। এ প্রযুক্তি আসন্ন ফাইভ-জি অ্যাডভান্সড স্ট্যান্ডার্ডের অংশ হিসেবে কয়েক বছরের মধ্যে বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে নকিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।