আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিদেশি পরিচর্যা কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে আসার বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। মন্ত্রিপরিষদের এক মন্ত্রী বলেছেন- অভিবাসন কমানোর জন্য সরকারি পরিকল্পনার আওতায় যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে কাটছাঁট করতে পারে।
পরিবেশ সচিব স্টিভ বার্কলে বলেছেন, স্বরাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি পরিসংখ্যান কমানোর বিকল্প হিসাবে বিদেশি পরিচর্যা কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সংখ্যার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেন। অভিবাসন মন্ত্রী, রবার্ট জেনরিকের প্রস্তাবের অধীনে, শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীলদের যুক্তরাজ্যে আসা নিষিদ্ধ করা হতে পারে বা তাদের সাথে একজন আত্মীয়কে আনার ছাড়পত্র প্রদান করা যেতে পারে।
অভিবাসনের বিষয়টি কতটা সমর্থন করছেন জানতে চাইলে বার্কলে টাইমস রেডিওকে বলেন: “আমি সংখ্যা কমিয়ে আনাকে পুরোপুরি সমর্থন করি। আমরা স্পষ্টতই আরও, দ্রুত সেই কাজ করতে চাই। উদাহরণস্বরূপ তাই প্রায় দেড় লক্ষ শিক্ষার্থী যেখানে নির্ভরশীল সেই রুটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” কেয়ার সেক্টরে যারা কাজ করেন তাদের উপর নির্ভরশীলতার একটি প্রসঙ্গ এখানে আসে। সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা নেবার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান অভিবাসন মন্ত্রী। আমি স্বরাষ্ট্র সচিবকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করার আহবান জানাই। সরকারি অর্থায়িত সংস্থা স্কিলস ফর কেয়ারের মতে, বেশিরভাগ বিদেশি পরিচর্যা কর্মী নাইজেরিয়া, ভারত এবং জিম্বাবুয়ে থেকে আসেন। যেহেতু হোম অফিস পরিচর্যা কর্মীদের ঘাটতি পেশার তালিকায় যুক্ত করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে ইংল্যান্ডে পরিচর্যা কর্মীদের ১৪% এখন যুক্তরাজ্য ব্যতীত ইইউ দেশ থেকে এসেছে, যেখানে ৭% ইইউ থেকে এসেছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত অফিসিয়াল পরিসংখ্যান দেখায় যে ২০২২ সালে নেট মাইগ্রেশন রেকর্ড ৭ লক্ষ ৪৫ হাজারে পৌঁছেছে।
পরিসংখ্যানগুলি মন্ত্রিসভার মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে, মন্ত্রীরা অভিবাসন কমানোর বিকল্প নিয়ে একে ওপরের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়েছেন।
ঋষি সুনাকের ঘনিষ্ঠ জেনরিক বলেছিলেন যে বড়দিনের আগে অভিবাসনের সংখ্যা কমিয়ে আনা তাদের লক্ষ্য। জেনরিক ২০১৯ সালের ইশতেহারের প্রতিশ্রুতির সাথে সামগ্রিকভাবে অভিবাসন কমাতে তার পরামর্শগুলি গ্রহণ করতে সরকারের ব্যর্থতার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। জানা গেছে যে তার নিজের পাঁচ দফা পরিকল্পনা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান দাবি করে আসছেন যে প্রধানমন্ত্রীর অফিস কাজের ভিসার সংখ্যা বা ন্যূনতম বেতনের স্তর বাড়ানোর মতো নীতিগুলি বাস্তবায়নের চুক্তি প্রত্যাহার করে আসছে। সুনাক আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর জন্য মানবাধিকার আইন অবরুদ্ধ করার দাবি মেনে নিতে নারাজ। যাকে সমর্থন করেছেন পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন এবং ক্লেভারলি।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।