৯ বছরের মধ্যে মার্কিন ডলারের দাম সর্বোচ্চ

মার্কিন ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মান ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। সাপ্তাহিক হিসাবে গত ৯ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

মার্কিন ডলার

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্থর রয়েছে। ফলে আগামীতে সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এই প্রত্যাশায় মার্কিন মুদ্রার মূল্যমান চড়া আছে।

অবশ্য শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান ৬ বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ডলার সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত ৬ মাসের মধ্যে যা প্রায় সবচেয়ে বেশি।

এতে টানা ৮ সপ্তাহ গ্রিনব্যাক সূচক ঊর্ধ্বগামী রইলো। গত ৯ বছরের মধ্যে যা একটানা সর্বাধিক ঊর্ধ্বমুখিতা।

এই প্রেক্ষাপটে ইউরোর শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মুদ্রাটির দাম স্থির হয়েছে ১ ডলার ০৭০৪ সেন্টে। তবে তা গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে।

এদিন স্টার্লিংয়ের মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১ ডলার ২৪৮০ সেন্টে। বিগত ৩ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে ব্রিটিশ মুদ্রাটির অবমূল্যায়ন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।

অনশোরে প্রতি ডলার লেনদেন হয়েছে ৭ দশমিক ৩৪ ইউয়ানে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরের পর যা সবচেয়ে কম। সবমিলিয়ে চলতি বছর চীনা মুদ্রার পতন ঘটেছে ৬ শতাংশ।

প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিরুদ্ধে ধুঁকছে জাপানি কারেন্সিও। ১ ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৪৭ দশমিক ৩০ ইয়েনে।

আলোচ্য কর্মদিবসে অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রার উত্থান ঘটেছে শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ। প্রতি অসি মুদ্রা বিক্রি হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৩৯৫ ডলারে। তবে চলমান সপ্তাহে তা নিম্নগামী হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।

আলোচিত সপ্তাহিক ভিত্তিতে নিউজিল্যান্ড মুদ্রার অবনমন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। সবশেষ কিউই মুদ্রাটি বিকিয়েছে শূন্য দশমিক ৫৯১০ ডলারে।

নর্ডিয়া মার্কেটের বৈদেশিক মুদ্রা এবং সামষ্টিক অর্থনীতির জ্যেষ্ঠ কৌশলবিদ ড্যান সিকোভ বলেন, ইউএস ও ইউরোপিয়ান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেটা ধীর রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ডলারের তেজ বেড়েছে। কিছুদিন আগে যা দুর্বল ছিল।